র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) এয়ার উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
কেরানীগঞ্জের নবাবগঞ্জে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) এয়ার উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর।
র্যাব জানিয়েছে, মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৫ আগস্ট তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। পরদিন ৬ আগস্ট তাঁর একটি সফল অস্ত্রোপচার হয়। ৭ আগস্ট তাঁকে নেওয়া হয় আইসিইউতে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, গত ২৭ জুলাই ঢাকার নবাবগঞ্জ এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণকালীন একটি হেলিকপ্টার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে র্যাবের এয়ার উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। সেখান থেকেই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় সিঙ্গাপুরে।
কমান্ডার মঈন বলেন, তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে র্যাব ফোর্সেসে কর্মরত সব সদস্য গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন অত্যন্ত দক্ষ পাইলট এবং চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে হারাল। তিনি বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের অকাল মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেনাবাহিনীর প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইজিপি, র্যাব মহাপরিচালক ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
ডেইলি মেসেঞ্জার/এমএএস