ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ এপ্রিল ২০২৪

The Daily Messenger

বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার, বাসায় ফিরে আত্মহত্যা

মেসেঞ্জার ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:৪৪, ৮ জুন ২০২২

আপডেট: ২০:২০, ৮ জুন ২০২২

বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার, বাসায় ফিরে আত্মহত্যা

গ্রেপ্তার : রুবেল ও জিসানুল ইসলাম

বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। এরপর সেখানে থেকে চট্টগ্রামের বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক টমটম (ইজিবাইক) চালক রুবেল ও ওই তরুণীর বন্ধু জিসানুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বুধবার (৮ জুন) দুপুরে সিআইডির হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।

মুক্তা ধর জানান, ফেসবুকে পরিচয়ের সুবাদে এক বছর ধরে জিসানুল ইসলামের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই তরুণীর। জিসান মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় অবস্থিত ‘ফুলকলি মিষ্টির’ কারখানায় কাজ করতেন। পরে কক্সবাজারে বেশি বেতনে চাকরি পেয়ে নতুন কর্মস্থলে চলে যান জিসান। তবে মোবাইলে জিসানের সঙ্গে ওই তরুণীর নিয়মিত যোগাযোগ হতো। একপর্যায়ে জিসানের আমন্ত্রণে ওই তরুণী তার বান্ধবীকে নিয়ে কক্সবাজারে দেখা করতে যায়।
 
কক্সবাজারে যাওয়ার পর জিসান জানায় সে ব্যস্ত আছে, দেখা করতে পারবেন না। পরে ওই তরুণী জানায় জিসানের সঙ্গে দেখা না করে যাবে না। এরপর জিসান তার তিনজন বন্ধুকে ওই তরুণীর কাছে পাঠিয়ে দেখা করতে পারে না বলে জানায় এবং তাদের চট্টগ্রাম ফিরে যাওয়ার জন্য বলে।

একপর্যায়ে চট্টগ্রামে ফিরে যাওয়ার জন্য বান্ধবীকে নিয়ে একটি টমটম করে বাসস্ট্যান্ডে যায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই তরুণী। টমটমচালক রুবেল তার কাছে থেকে ঘটনা জানার পর আশ্বস্ত করে জিসান তার পূর্বপরিচিত। তাকে সময় দিলে সে যেভাবেই হোক জিসানের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করে দেবে। এসময় টমটমচালকের কথায় আশ্বস্ত হয়ে সে তা সরলমনে বিশ্বাস করে।

এরপর রুবেল তার বান্ধবীকে একটি চট্টগ্রামগামী বাসে তুলে দেয়। পরে রুবেল জিসানকে খুঁজে বের করার অভিনয় করে ওই তরুণীকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করে কালক্ষেপণ করে। জিসানকে খবর দেওয়া হয়েছে এবং সে রাতের বেলা এসে জিসানের পরিচিত ৬নম্বর ঘাটের পার্শ্ববর্তী ‘হোটেল আলামিন’ এ এসে ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা করবে মর্মে মিথ্যা তথ্য দেয় এবং এ কথা বলে ওই হোটেলে রুম নিয়ে দেয়

এরপর রাতে জিসান এসেছে মর্মে রুবেল হোটেলের রুমের দরজা খোলার জন্য তাকে বললে সে দরজা খুলে দেয়। তখন রুবেল ওই হোটেল রুমে প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে কৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর ওই তরুণী নিরূপায় হয়ে ১ জুন রাতে চট্টগ্রামে তাদের বাসায় ফিরে আসে। এরপর ৩ জুন ভোর ৪টার থেকে সকাল ৭ টার মধ্যে সবার অগোচরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

এ ঘটনায় ভিকটিম তরুণীর বোন জিসানুল ইসলাম ও টমটমচালক রুবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিএমপির বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ৪ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

dwl
×
Nagad