ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
২৫ এপ্রিল ২০২৪

The Daily Messenger

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ

কিশোরগঞ্জে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে হামলা-ভাংচুর, গ্রেপ্তার ৫

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:৩৭, ১৩ মে ২০২৩

কিশোরগঞ্জে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে হামলা-ভাংচুর, গ্রেপ্তার ৫

ছবি : টিডিএম

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের তেরহাসিয়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে বাড়িতে ঢুকে হামলা-ভাংচুর ও লোটপাটের অভিযোগ উঠেছে আপন চাচা ও চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন চারজন।

আহতরা হলেন, গ্রাম পুলিশ জাহেদ মিয়া, রবি মিয়া আঃ করিম এবং মো. মেনু মিয়া। আহত দুইজন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকি দুইজন কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয়ে শুক্রবার (১২ মে) রাতে ভুক্তভোগী মো. মানিক মিয়া কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার তেরহাসিয়া গ্রামের মো. আবু কালাম, মো. অন্তর, মোছা. রোকিয়া আক্তার, মো. হামিদ, আবু তাহের, বিল্লাল মিয়া, তোফাজ্জল হোসেন এবং রঘুনন্দনপুর গ্রামের মো. নিশাত। এছাড়াও অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের তেরহাসিয়া গ্রামের মানিক মিয়ার সাথে তার চাচা মো. আবু কালামের পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরেই জমি সংক্রান্ত বিরোধ চরে আসছিলো। যা পরবর্তীতে আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালত বিরোধের ঐ জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন, যা এখনো চলমান।

গত ১০ মে সন্ধ্যায় আদালতের ১৪৪ ধারা অমান্য করে চাচা আবু কালামসহ তার পরিবারের লোকজন ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ির কাছেই আজিমের বাজারে অবস্থিত বিরোধের জায়গা দখল করতে যায়। তখন ভাতিজা মানিক মিয়ার পরিবারের লোকজনকে কাছে পেয়ে তাদের উপর চড়াও হয়। এসময় মানিক মিয়ার বাবা আঃ করিম এবং ভাই গ্রাম পুলিশ জাহেদ মিয়াসহ চারজনকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা চারজনকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দুইজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আহত বাকি দুইজন কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অভিযুক্তরা পুনরায় ১২ মে সকালে অভিযোগকারি মানিক মিয়ার বাড়িতে ঢুকে বাড়ি-ঘর ভাংচুর লোটপাট করেছে বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ্য রয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন জানান, পরপর দুটো ঘটনাই আমি শুনেছি। বাড়িতে ঢুকে হামলা-ভাংচুর এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কোপানো এটা কোনভাবেই আইনসম্মত নয়। এ বিরোধের জায়গা নিয়ে আমি নিজে উপস্থিত থেকে ১১ টি শালিশ করেছি। কিন্তু কোন মিমাংসা হয়নি। এখন যেহেতু আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, সেহেতু আদালতের প্রতি সম্মান রেখে নির্দেশনার অপেক্ষা করা উচিত।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই মামলা রুজু করা হয়েছে। এবং শুক্রবার (১২ মে) রাত থেকে শনিবার (১৩ মে) সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে উক্ত মামলার এজাহারে অভিযুক্ত চারজনসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

শনিবার (১৩ মে) দুপুরে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

টিডিএম/এএস

dwl
×
Nagad