হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি। ১ম বছরেই হবিগঞ্জবাসীর মন জয় করেছেন তিনি। করোনাকালে ও বর্তমানে বন্যার্ত মানুষের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন আস্থার প্রতীক। কর্মক্ষেত্রে ১ম বছরেই যিনি জয় করে নিয়েছেন মানুষের মন। ২০২১ সালের ১২ জুলাই হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব নেন। সেবা, সততা, নিষ্ঠা আর আন্তরিকতা দিয়ে যিনি ইতোমধ্যে হবিগঞ্জবাসীর আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। বলা চলে এই এক বছরে তিনি পুলিশ সম্পর্কে হবিগঞ্জবাসীর ধারণাই পাল্টে দিয়েছেন। নিরলস পরিশ্রমী মেধাবী এই কর্মকর্তার কারণে হবিগঞ্জের সাধারণ মানুষ আজ পুলিশকে তাদের বন্ধু ভাবতে শুরু করেছে। কর্মক্ষেত্রে এই এক বছরে তিনি জেলার সার্বিক আইনশৃংখলা রক্ষাসহ সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধান এবং জেলা পুলিশের উন্নয়নে নিরলভাবে পরিশ্রম করেছেন।
তিনি হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সদস্যদের তাদের কমিটমেন্টের জায়গাটি বোঝাতে পেরেছেন আর সাধারণ মানুষকে বার্তা দিতে পেরেছেন যে, পুলিশ কোন আতঙ্ক নয়, জনসাধারণের বন্ধু হিসেবে পুলিশ তাদের সাথে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। যেকোন প্রয়োজনে তারা যেন পুলিশের সাহায্য নেয়। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন এই নীতির কারণে তিনি জেলার মানুষের কাছে এখন আস্থার প্রতীক। তিনি ২৪তম বিসিএসে পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন। হবিগঞ্জ জেলায় যোগদানের পূর্বে তিনি মেহেরপুর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। করোনা মোকাবেলা ও অসহায় বন্যার্তদের সহযোগিতায় জেলায় সর্বদা নিরলসভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। জেলার ৯টি থানার গ্রাম, মহল্লা, পাড়ায় জেলা পুলিশের সকল ইউনিট নিরলসভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।
পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের পরিবর্তনের অগ্রনায়ক হিসেবে খ্যাত বর্তমান আইজিপি ড. বেনজির আহমেদ বিপিএম (বার) মহোদয়ের নেতৃত্বে জেলার প্রত্যেকটি থানায় বিট পুলিশিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সকল থানার ইউনিয়ন পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই,এএসআইদের মোবাইল নম্বর ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। যাতে মানুষ দ্রæত তাদের সমস্যার কথা পুলিশকে জানাতে পারে। যেকোন প্রয়োজনে ৯৯৯ এ ফোন করার আহবান জানান তিনি। অত্র জেলার যোগদানের পর হতে আইনশৃংখলা রক্ষাসহ প্রতিটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার সুষ্টু তদন্ত পূর্বক দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, অত্র জেলায় যোগদানের পর হতে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম মহোদয়ের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মোতাবেক জেলা পুলিশের সর্বস্তরের অফিসার ও ফোর্সকে সাথে নিয়ে কাজ করে আসছি। তিনি বলেন, জেলা পুলিশের প্রতিটি সফলতার পেছনের মূলশক্তি হলো অত্র জেলার সকল অফিসার ও ফোর্স। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই বিগত ১ বছর সফলতার সাথে অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে। তিনি হবিগঞ্জ জেলাবাসী তথা জেলার বিভিন্ন পেশার কর্মজীবি ও বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ব্যক্তিদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আপনারদের সহযোগীতা ছাড়া জেলা পুলিশের আজ এতদূর এগিয়ে আসা সম্ভব হতো না। এ জন্য তিনি ভবিষ্যতেও হবিগঞ্জবাসীসহ সকলকে জেলা পুলিশকে সহযোগিতার আহবান জানান।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, সামনের দিনগুলোতে মাননীয় আইজিপি মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সিলেট রেঞ্জের মান্যবর ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম মহোদয়ের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ হবিগঞ্জ দুর্নীতিমুক্ত, জনবান্ধব করা এবং বিট পুলিশিং এর ব্যাপক প্রসারসহ মাদকমুক্ত হবিগঞ্জ গড়ার পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যদের সার্বিক কল্যাণের বিষয়ে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করে এগিয়ে যেতে চাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) সভানেত্রী মিসেস তাহেরা রহমানসহ পুনাকের অন্যান্য নেত্রীবৃন্দ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মাহমুদুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে, সহকারী পুলিশ সুপার (মাধবপুর সার্কেল), মহসীন আল মুরাদ, সহকারী পুলিশ সুপার (বাহুবল সার্কেল) আবুল খয়ের, প্রেসক্লাব সভাপতি রাসেল চৌধুরীসহ সকল থানা অফিসার ইনচার্জ, জেলার বিভিন্ন পদবীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।