ছবি: ফায়ার সার্ভিস
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটের কাছে পদ্মা নদীতে যানবাহনবোঝাই ফেরি রজনীগন্ধা ডুবে যাওয়ার ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করেছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
ঘটনার দায়ভার অজ্ঞাতপরিচয় বাল্কহেডের ওপর না চাপিয়ে ফেরির ত্রুটি খোঁজার পাশাপাশি ফিটনেস সনদ হালনাগাদ ছিল কি না, তা উদ্ঘাটনের আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক সংগঠনটি।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সংগঠনের সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাল্কহেডের ধাক্কায় তলা ফেটে পানি উঠে ফেরিটি তলিয়ে গেছে’ এবং ‘দ্রুতগতির বাল্কহেডটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি’—বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) এমন ঢালাও বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য। নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে নৌযানটির নির্মাণকালীন ত্রুটিবিচ্যুতি এবং সর্বশেষ সার্ভে (ফিটনেস) সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করা আবশ্যক।
দুর্ঘটনার পর থেকে উদ্ধার কার্যক্রমসহ পুরো বিষয়টির ওপর জাতীয় কমিটি নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়।
এতে বলা হয়, রজনীগন্ধা ফেরিটি ২০১৪ সালে বেসরকারি ডকইয়ার্ডে নির্মিত। এই অল্প সময়ের মধ্যে এত বড় নৌযানের তলদেশ একটি বাল্কহেডের (বালুবাহী ছোট্ট নৌযান) ধাক্কায় ফেটে নৌযানটি নদীতে তলিয়ে যাবে, তা মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতারা অবিলম্বে ফেরিসহ নিমজ্জিত যানবাহনগুলো উদ্ধার এবং নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
গত বুধবার সকালে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে ৯টি যানবাহনসহ ডুবে যায় রজনীগন্ধা ফেরি। এ সময় ফেরিতে থাকা স্টাফসহ ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ রয়েছেন ফেরিটির সহকারী চালক হুমায়ুন কবির।
মেসেঞ্জার/আল আমিন