ছবি : মেসেঞ্জার
মেহেরপুরের গাংনীতে জমির কলমি শাকের বীজ মাড়াই করার শ্রমিক খরচ নিয়ে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গাংনী উপজেলার ঢেপা গ্রামের একটি চায়ের দোকানে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, মালিক পক্ষের ঢেপা গ্রামের জেলেহার মণ্ডলের ছেলে মজিবর, দেলোয়ার মণ্ডলের ছেলে জিবার মন্ডল, নুর ইসলামের ছেলে আশাদুল, আশাদুলের ছেলে নয়ন, জেলেহার মণ্ডলের ছেলে নুর ইসলাম, মজিবরের ছেলে আল আমিন ও বায়জিদ আলীর ছেলে ফরজ আলী।
শ্রমিকপক্ষের আহতরা হলেন মৃত খোকা সেখের ছেলে রেজাউল ইসলাম, রেজাউলের তিন ছেলে উসমান আলী, হুমায়ন আহমেদ, হযরত আলী, রেজাউলের স্ত্রী হালিমা খাতুন, নাতি স্বপন আলী।
আহতদের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার মজিবরের ১৩ কাঠা জমির কলমি শাকের বীজ মাড়ানোর জন্য চুক্তি নেয় রেজাউল হকরা। বিঘাপ্রতি জমিতে আড়াই হাজার টাকার চুক্তি হয়।
শ্রমিকের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে মজিবর অভিযোগ করেন, মাড়াই খরচ বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
বুধবার সকালে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে উভয়পক্ষ চা পান করছিল। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে আবারও বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। এতে দুপক্ষের ১৩ জন আহত হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল ও গাংনী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেসেঞ্জার/মাহাবুব/আপেল
