
ছবি : মেসেঞ্জার
কুড়িগ্রামের চিলমারী মডেল থানায় প্রত্যয়ন নিতে গিয়ে নামের মিল থাকায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের বৈলমনদিয়ারখাতা গ্রামের আঃ ছাত্তার আলীর ছেলে মাইদুল ইসলাম পাশ্ববর্তী এলাকার কড়াইবাড়িশাল এলাকার আঃ হাকিমের মেয়ে হাছিনা বেগম হাসির সাথে বিয়ে হয়।
পরে যৌতুক ও নির্যাতনের স্বীকার হয়ে হাসি বেগম একটি মামলা দায়ের করেন আদালতে। এরই পেক্ষিতে ২০১৬ সালে মামলার রায় হয় বলে চিলমারী থানা সূত্রে জানা যায়।
এদিকে একই এলাকার আঃ সাত্তার (হাতভাঙা) এর ছেলে মোঃ মাঈদুল ইসলাম (৩৫) বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে চিলমারী মডেল থানায় পুলিশি প্রত্যয়ন নিতে গেলে ওয়ারেন্ট ভুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসাবে দায়িত্বরত কর্মকর্তা এএসআই রতন কুমার তাকে আটক করে।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, ওয়ারেন্ট ও সাজা প্রাপ্ত আসামি হিসাবে ও একই নাম ঠিকানা হওয়ায় মাঈদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছিল পরে তদন্ত করে সত্যতা নিশ্চিত করে জানা যায় আটককৃত মাঈদুল ওই মামলার আসামী নয়, তাই এলাকার মেম্বারের মুসলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী মাইদুল ইসলাম জানান, আমি বিদেশে ট্যুরে যাওয়ার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন করি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নেয়ার জন্য থানায় যাই। তারা আমাকে বলে আমি নাকি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী, তাই আমাকে তারা ধরে একটি রুমে রেখে তালাবদ্ধ করে রাখে।
দুপুর একটার সময় আমাকে তারা ধরেছিল তারপর যে বাদী ছিল তাকে নাহিদ হাসান নলেজ ভাই তাকে খুঁজে বের করে তার ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে এসপিকে দিয়ে দেয়, সত্যতা প্রমাণ করার পর তারা আমাকে বিকেল পাঁচটার সময় ছেড়ে দেয়।
এরকম নিয়মের কারণে সাধারণ জনগণ ভোগান্তিতে পড়ে থাকে, এই নিয়মের পরিবর্তন সাপেক্ষে জনগণকে হয়রানির হাত থেকে রক্ষা করা খুব দরকার।
মেসেঞ্জার/রাফি/আপেল