ছবি: সংগৃৃহীত
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একজন সদস্য পদপ্রার্থী পরাজিত ঘোষিত হলে আদালতে পুনরায় ভোট গণনার আবেদন করেন। এর প্রায় ২ বছর পর আদালত ভোট গণনার আদেশ দেন। তাতে দেখা যায়, ভোটের দিন বিজয়ী ঘোষিত প্রার্থীর চেয়ে আবেদনকারী (পরাজিত ঘোষিত) এই প্রার্থীর ভোট বেশি। পরে আবেদনকারী ওই প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন আদালত।
গতকাল রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে আদালতের বিচারক হাসিবুল হাসানের নির্দেশে পুনরায় ভোট গণনা ও রায় ঘোষণা করা হয়। নব নির্বাচিত ওই প্রার্থী হলেন—উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী (ফুটবল প্রতীক) আসাদুজ্জামান খলিফা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে তিনজন প্রার্থী ছিলেন। সেখানে মামুন পাইক, আসাদুজ্জামান খলিফা ও লাল মিয়া পাইক নামে তিনজন প্রার্থী এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই ওয়ার্ডের বিএইচপি একাডেমির কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান ফলাফল ঘোষণা করেন।
তাতে দেখা যায়, মোরগ মার্কার প্রার্থী মামুন পাইক ১২৮০ ভোট পেয়েছেন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান খলিফা পেয়েছেন ১১৮৯ ভোট এবং আপেল প্রতীকের প্রার্থী লাল মিয়া পাইক ১ ভোট পেয়েছেন। সেই অনুযায়ী মামুন পাইককে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
পরে ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি সরকারি কোষাগারে ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে পুনরায় ভোট গণনার জন্য বরিশাল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে আবেদন করেন ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান খলিফা।
প্রার্থী আসাদুজ্জামান খলিফার পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী মো. আজাদ রহমান জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট পুনরায় গণনার আবেদনে ২ বছর ২ মাস ২২ দিন পর গতকাল রোববার আদালতের বিচারক হাসিবুল হাসানের নির্দেশে পুনরায় ভোট গণনা করা হয়। এতে দেখা যায়, ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান খলিফা পেয়েছেন ১১৭২ ভোট এবং মোরগ প্রতীকের প্রার্থী মামুন পাইক পেয়েছেন ১১৩৫ ভোট। শেষে আসাদুজ্জামান খলিফাকে ইউপি সদস্য হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করে রায় দেন বিচারক। ভোট গণনার সময় আদালতে মামুন পাইক ও আসাদুজ্জামান খলিফা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বিজয়ী প্রার্থী আসাদুজ্জামান খলিফা বলেন, ‘নির্বাচনে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে মামুন পাইক ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামানকে প্রভাবিত করেছিলেন। ফল ঘোষণার সময় আমাকে পরাজিত করা হয়েছিল। আমি বিজয়ী হওয়ার পরেও দুই বছরের বেশি সময় জনগণের রায় পাইনি। অবশেষে আদালতে পুনরায় ভোট গণনার পর আমার এলাকার মানুষ তাদের রায় পেয়েছে। আমি এতে আনন্দিত।’
মেসেঞ্জার/আল আমিন