ছবি : মেসেঞ্জার
খুলনার কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে জিম্মায় রাখা মৎস্য ঘেরের মাছ বিক্রির ৩০ লাখ টাকা আত্নসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভূক্তভোগী মৎস্য ঘের মালিকদের পক্ষে মোঃ বাবর আলী মোড়ল মোঃ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে খুলনা রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খুলনার কয়রা উপজেলার খড়িয়া মঠবাড়ী মৌজায় ১৮৫ নং এস এ খতিয়ানের বিভিন্ন দাগে ৩৭ দশমিক ৮ একর জমিতে ৪টি পৃথক খন্ড করে মাছ চাষ করে আসছেন পাইকগাছার রামনগর গ্রামের মোঃ বাবর আলী মোড়ল, কয়রার দশালিয়া গ্রামের আঃ হামিদ গাজী ও ২ নং কয়রা গ্রামের মোঃ শাহবাজ হোসেন টিক্কা।
ওই মৎস্য ঘেরের জমি ১৯৫২ সালে কোবলা দলিলে তারা ক্রয় করেন। যার দলিল নং ৩৫২৮। পরে বাদী পক্ষের নামে নামপত্তন করে ১৪৩০ সাল পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করেন তারা। তবে জমির দাবি নিয়ে চৌকুনি গ্রামের মোক্তার আলী, শামীম হোসেন ও মঠবাড়ি গ্রামের তাপস মন্ডল, অজিত ঢালী, মনোবেম সরকার দেবব্রত মন্ডল, মনোবেশ ঢালী, বিপুল কুমার মন্ডল আদালতে মামলা করে অন্তর্বতীকালীন নিষেধাজ্ঞা পান।
এমতাবস্থায় উভয় পক্ষের মধ্যকার বিরোধ মেটাতে গত বছরের ১২ আগষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান মৎস্য ঘেরটি মাছ সহ তার নিজের জিম্মায় নেন।
পরবর্তীতে ৬ মাস যাবৎ ওসির সহযোগিতায় বিবাদীগণ ওই ঘেরের মাছ বিক্রি করে আসছে। বিগত ছয় মাসে আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করা হয়েছে। একপর্যায়ে গত ১৬ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মামনুর রহমানের আদালত থেকে বাদী পক্ষের অনূকূলে রায় পান এবং ডিগ্রী প্রাপ্ত হন।
পরে অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমানের কাছে জিম্মায় রাখা মাছ বিক্রির আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা ফেরত চাইলে তিনি ঘুষ দাবী করেন। ঘুষ দিতে অস্বীকার করলে তিনি মামলার ভয় দেখান।
তিনি বলেন, মৎস্য ঘের এবং মৎস্য ঘেরের মাছ বিক্রির কোন টাকা ফেরত দিতে পারবেন না। বাদী পক্ষের ঘের ও ঘেরের মাছ বিক্রির টাকা ফেরত পেতে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শকের কাছে আবেদন করেন।
এ বিষয়ে কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ অসত্য ও কাল্পনিক।
খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, যেহেতু আবেদন করেছে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক মঈনুল হক বলেন, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে খুলনা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মেসেঞ্জার/কামাল/আপেল