ছবি : মেসেঞ্জার
মাগুরায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করতে গেলে ছাত্রলীগ নেতার লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন জেলার বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষকরা।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাগুরা জেলার বিভিন্ন মাদরাসার প্রধানগণ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করতে গেলে শহরের সিদ্দিকীয়া মাদরাসা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক হিজবুল্লাহ তাদের উপর চড়াও হয়ে ব্যানার কেড়ে নেয়।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা জানান, মাগুরার সদর উপজেলার পুখরিয়া আলোকদিয়া দাখিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য কেরামত মল্লিকের ছেলে রায়হান ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে। কিন্তু সে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ না নিলেও তার বাবা মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে ছেলেকে চলমান মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দাবি করেন। কিন্তু মাদরাসা সুপারিনটেনডেন্ট আইনাল হক তাকে সেই সুযোগ না দেওয়ায় স্থানীয় বগিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ ফেব্রæয়ারি সকালে ইউপি চেয়ারম্যান মীর রওনক হোসেন সুপারিনটেনডেন্ট আইনাল হককে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে মাদরাসা সভাপতি নজরুল ইসলামসহ সহ উপস্থিত অন্যান্যদের সামনে মারধর করেন। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে জেলার বিভিন্ন মাদরাসার প্রধানগণ মাগুরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন। এর আগে বেলা ১২ টার দিকে তারা মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২ নং গেটের সামনে মানববন্ধন করতে গেলে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের উপর চড়াও হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী মাগুরা সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মোঃ ওবায়দুল্লাহ বলেন, একজন ইউপি চেয়ারম্যান অনৈতিকভাবে মাদরাসা প্রধান আইনুলকে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে চড় থাপ্পড় মেরেছে। তিনি কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও স্থানীয় প্রশাসন কিংবা মাদরাসা পরিচালনা কমিটি এ বিষয়ে কোনো প্রতিকারের ব্যবস্থা না নেওয়ায় মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছিলো। কিন্তু সেখানেও ছাত্রলীগের হামলা এবং ব্যানার কেড়ে নেওয়ার ঘটনা দু:খজনক। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চেয়ে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পাশাপাশি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আবু নাসির বাবলুকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। তবে পুখরিয়া আলোকদিয়া দাখিল মাদরাসার সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন চেয়ারম্যানের বাড়িতে অনেক লোকজন থাকলেও আমার সামনে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া মানববন্ধন থেকে ব্যানার কেড়ে নেওয়ার ঘটনা জানা নেই। কেউ সেটি করলেও সেখানে আমাদের কোনো ইন্দন নেই।
মেসেঞ্জার/বাসার/শাহেদ