ঢাকা,  শনিবার
২৭ জুলাই ২০২৪

The Daily Messenger

নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে তোপের মুখে সরকারী খাদ্য কর্মকর্তা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৫১, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ১৩:৫২, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে তোপের মুখে সরকারী খাদ্য কর্মকর্তা

ছবি : মেসেঞ্জার

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন জামালপুর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিন্নাত শামসুন্নাহার রুমা। এতে ভোটার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী শরাফ উদ্দিন ও মেয়র প্রার্থী অ্যাড. সাদেকুল হক খান মিল্কী টজুর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন জিন্নাত শামসুন্নাহার রুমা। যার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা সোনিয়া আক্তার বলেন, রুমা ভাবি এ এলাকার সবার পরিচিত। তার বাসা আমাদের বাসার পাশেই। তিনি কাউন্সিলর প্রার্থী শরাফ উদ্দিনের পক্ষে ভোট চাইছেন। এ এলাকায় এসে প্রচারপত্র বিলির পাশাপাশি ঠেলাগাড়ি প্রতীকে ভোট দিতে আমাদের বলেছেন। তবে আমাদের এলাকার উন্নয়নে যে কাজ করবে আমরা তাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করব।

জিন্নাত আরা জানান,  জিন্নাত শামসুন্নাহার রুমা ঠেলাগাড়ি প্রতীকের শরাফ উদ্দিনের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঠেলাগাড়ি প্রতীকে আমাদের কাছে ভোট চেয়েছেন তিনি। তবে যে যোগ্য আমরা তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করব।

প্রচারণায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে জামালপুর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিন্নাত শামসুন্নাহার রুমা বলেন, আমার পছন্দের লোক আমার আত্মীয়ও হতে পারে। তাই তার জন্য কারো কাছে ভোট চাইতেই পারি। আমার চাকরি ঠিক রেখে সবকিছু করছি। আমি টজু ভাইকে পছন্দ করছি, শরাফ ভাইকে পছন্দ করছি বা তাদের পক্ষে প্রচারণা করছি। এ বিষয়ে যা পারেন লিখেন। আমার বক্তব্য রেকর্ড করে ভাইরাল করেন। তাতে আমার কিছু যায় আসে না।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো সরকারি কর্মকর্তা কারো পক্ষ নিয়ে নির্বাচনে প্রচারণায় নামতে পারবেন না। সে বিষয়ে সুস্পষ্ট আইন রয়েছে। যদি এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ পাই তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

ময়মনসিংহের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু নাঈম মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, সরকারি চাকরি করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে এলাকার কেউ প্রার্থী হলে তার পক্ষে সমর্থন থাকতে পারে। প্রকাশ্যে প্রচারে নামা যাবে না। খোঁজ-খবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মেসেঞ্জার/কালাম/ফারিয়া