ঢাকা,  শনিবার
২৭ এপ্রিল ২০২৪

The Daily Messenger

সাভারে চাঞ্চল্যকর কাঠমিস্ত্রি হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ২

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০:১০, ১৬ মার্চ ২০২৪

সাভারে চাঞ্চল্যকর কাঠমিস্ত্রি হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ২

ছবি: মেসেঞ্জার

ঢাকার সাভারে চাঞ্চল্যকর কাঠমিস্ত্রি সোহেল মোল্লা (২৫) হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ও কিশোর গ্যাং লিডার আল আমিন এবং তার সহযোগী সজিব হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৪। গ্রেপ্তার আল আমিন (১৯) ঝালকাঠি জেলার বাসিন্দা। তার সহযোগী সজিব হোসেন (২৩) ঢাকা জেলার বাসিন্দা।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।

র‍্যাব জানায়, গত ১১ মার্চ রাতে ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন সাভার বাজার রোডস্থ একটি মার্কেটের পেছনে পরিত্যক্ত ফাঁকা জায়গায় কাঠমিস্ত্রি সোহেল মোল্লাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কিছু কিশোর গ্যাং সদস্য ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। ভিকটিমের ডাক চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করেন। ঘটনার পরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাবকে অবহিত করলে র‍্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে ছায়াতদন্ত শুরু করে।

র‍্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (১৫ মার্চ) র‍্যাব-৪ এর একটি দল ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন কালামপুর ও সাভার মডেল থানাধীন আনন্দপুর এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে মামলার প্রধান আসামি ও কিশোর গ্যাং লিডার আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, ভিকটিম সোহেল মোল্লা সাভার মডেল থানাধীন সাভার বাজার সংলগ্ন ফার্নিচারের দোকানে নকশার কাজ করতেন। এ সময় আসামি আল আমিনসহ অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনজন দোকানে এসে সিগারেট খাওয়ার কথা বলে তাকে দোকান থেকে কৌশলে পাশের একটি মার্কেটের পেছনে পরিত্যক্ত ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়।

পরে কথা বার্তার এক পর্যায়ে আসামি আল আমিন আগের শত্রুতার জেরে পরিকল্পনা মোতাবেক তার পকেটে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে ভিকটিম সোহেল মোল্লার বুকের বাম পাশেসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে ঘটনাস্থল হতে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে আসামি আল আমিন উক্ত হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটি আসামি সজিব হোসেনের কাছে জমা রেখে বরিশাল, ঝালকাঠিসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল। এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

মেসেঞ্জার/নোমান/ফারদিন

dwl
×
Nagad