ছবি : মেসেঞ্জার
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দীর্ঘ এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে ২টি র্যাক (৪২ ওয়াগন করে ৮৪ ওয়াগন) প্রায় ৫ হাজার মেট্রিন টন ডিওসি ( ড্রাই ওয়েল কেক) অর্থ্যাৎ খৈল আমদানি হয়েছে।
দর্শনা রেলস্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘ ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটিতে ৮ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দর্শনা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
ছুটি শেষে আজ সোমবার থেকে আগের মতো যথারীতি দর্শনা বন্দরে রেলপথে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’ ঈদের আগে গত (৩ এপ্রিল) ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি করেছে টিসিবি।
তবে খোলা ছিল দর্শনা চেকপোস্ট। ঈদের ছুটির কয়দিন দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে হাজার হাজার পাসপোর্টধারী ভারত ভ্রমনে গেছেন। ঢাকা-কলকাতা যাত্রীবাহি ট্রেন মৈত্রী একপ্রেস চলাচল করে দর্শনা বন্দর দিয়ে। ঈদের ছুটিতে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ আছে মৈত্রী ট্রেন।
১৮ এপ্রিল (বুধবার) থেকে চলবে ট্রেনটি।
দর্শনা ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এস আই আতিক জানান, ৩৬৫ দিনই খোলা থাকে দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। প্রতিদিন সুর্যোদয় থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত চলে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম।
ভারত ভ্রমনে দর্শনা চেকপোস্ট জনপ্রিয় একটি জায়গা। দর্শনা চেকপোস্ট থেকে কলকাতা খুব কাছে। এখান থেকে রেলপথে কলকাতার দুরত্ব মাত্র ১১৪ কিলোমিটার। দর্শনার বিপরীতে ভারতে গেদে বন্দর।
গেদে থেকে কলকাতা, ২৪ ঘন্টাই ১৮ টি ট্রেন চলাচল করে। ভাড়া মাত্র ৩০ রুপি। এখন প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার পাসপোর্টধারী এ চেকপোস্ট দিয়ে গমনাগমন করেন।
এদিকে দর্শনা বন্দর দিয়ে রেলপথে আমদানি-রপ্তানি হয়। এটি দেশের গুরুত্বপুর্ন একটি বন্দর। করোনাকালে সব বন্ধ থাকলেও সংকট মুহুর্তে খোলা ছিল দর্শনা বন্দর।
সারা বছরে ও দেশের সংকট মুহুর্তে ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে দর্শনা বন্দর। দৈনিক ২ থেকে ৩টি র্যাক (৪২ ওয়াগনে এক র্যাক) ভারত থেকে আসে এ বন্দরে।
মেসেঞ্জার/লিটন/তারেক