![ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি রয়েছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি রয়েছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী](https://www.dailymessenger.net/media/imgAll/2024February/24-2405250843.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান।
শনিবার (২৫ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় নেয়া প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি রয়েছে। ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও উপকূলে ৪ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। আগামীকাল-রোববার (২৬ মে) ভোর থেকে ঝড় আঘাত হানতে পারে। সন্ধ্যায় পুরোপুরি আঘাত হানবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এজন্য আজ রাতে ১০নং মহাবিপদ সংকেত দেয়া হবে।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ৭ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে সেখানে। প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে, এজন্য পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধ্স হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমরা বুঝতে পারছি, ঘূর্ণিঝড়টি আসন্ন। এখন ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত রয়েছে। আগামী ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে সংকেত ৩-এ চলে যাবে। এটা (সতর্ক সংকেত) রাতে ৪-এর ওপরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাতে বিপদের পর্যায়ে চলে যেতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস পর্যালোচনা করে আমরা ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছি। রাত ১২টা-১টা নাগাদ এটা ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি হতে পারে। এমন একটা সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উপকূলীয় জেলায় আমাদের প্রায় চারহাজার আশ্রয়কেন্দ্র আছে। এগুলো আমরা প্রস্তুত রেখেছি। খাদ্যের জন্য আমাদের প্রত্যেকটি জেলায় গুদামে পর্যাপ্ত শুকনো খাবারসহ যেসব জিনিস দরকার হবে, এগুলো মজুত রেখেছি। প্রয়োজনে ঢাকা থেকে যাতে আরও সাপ্লাই দিতে পারি সেজন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
মেসেঞ্জার/ফামিমা