ছবি : মেসেঞ্জার
বগুড়ার সদরের শেখেরকোলা ইউনিয়নের বালা কৈগাড়ি গ্রামে চাঞ্চল্যকর খামারী ইউনুস হত্যা মামলার প্রধান আসামী ঘাতক আব্দুর ওহাবকে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন রংপুর (র্যাব-১৩) গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী ওহাব বালা কৈগাড়ি গ্রামের জিল্লুর রহমানের পুত্র।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, (২২ জুন) বগুড়া জেলার সদর থানার বালা কৈগাড়ী গ্রামের আসামী মোঃ আব্দুল ওহাব (৩৭) ও তার সহযোগীরা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র ইউনুস আলী (৬৫) কে মারপিট ও ড্রেনে চুবিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
উল্লেখ্য, নিহত ইউনুসের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বড় ছেলে মোঃ শাহিন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আসামী মোঃ আব্দুল ওহারের স্ত্রীকে হাত ধরে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। এ ঘটনার জের ধরে আব্দুল ওহাব বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মোঃ শাহিনকে মারধর করেন। ঘটনায় ভিকটিমের ছোট ছেলে ও মামলার বাদী মোঃ গোলাম রসুল জানতে পেরে (২২ জুন) আব্দুল ওহাবকে দেখতে পেয়ে মারধরের কারণ জিজ্ঞেস করেন।
এসময় ওহাব ক্ষিপ্ত হয়ে তার পরিবারের অন্যান্যদের নিয়ে ভিকটিমের ছোট ছেলে মোঃ গোলাম রসুলকে মারধর শুরু করে। এসময় তার আত্মচিৎকারে পাশে থাকা নিহত ইউনুস মসজিদ থেকে বের হয়ে ছেলেকে বাঁচাতে দৌড়ে ঘটনাস্থানে এগিয়ে আসেন।
এসময় গ্রেপ্তারকৃত ১নং আসামী আব্দুল ওহাব সন্ত্রাসী কায়দায় ইউনুসকে এলোপাথাড়ি মারধর করে এবং মসজিদের পাশে ড্রেনে মাথা চুবিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ঘাতক ওহাব আত্মগোপন করে।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রযুক্তির মাধ্যমে রংপুর র্যাব-১৩ উক্ত হত্যার ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এক পর্যায়ে তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভোরে রংপুর জেলার সদর উপজেলার বিদ্যিবান গ্রামে গ্রেপ্তারের অভিযান চালায়।
সেখানে র্যাবের উপস্থিত টের পেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন ওহাব। এদিকে র্যাবও নাছোড়বান্দা তারাও অভিযান চালিয়ে নদী থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করেন। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামী স্বীকার করে যে, ভিকটিম ইউনুছ আলীকে আঘাতের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। পরে আসামী ওহাবকে বগুড়া জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মেসেঞ্জার/আলমগীর/তারেক