ছবি: মেসেঞ্জার
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কিছু কিছু কর্মী হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে শ্রমিক দলের চাঁদার রশিদ ব্যবহার করে একটি কুচক্র মহলের চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ তারিকুল ইসলাম সোহাগ।
এব্যাপারে রোববার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ তারিকুল ইসলাম সোহাগ।
লিখিত বক্তব্যে সোহাগ বলেন, দলীয় নির্দেশনা না মেনে একটি কুচক্রী মহল বিশৃংখলা সৃষ্টি করার অংশ হিসেবে শুক্রবার ০৯ আগস্ট রাত সাড়ে আটটার দিকে আমতলী পৌর শহরের বটতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে শ্রমিক দলের নাম ব্যবহার করে চাঁদা আদায়কালে জাহাঙ্গীর নামে একজন চাঁদাবাজকে জনতা হাতেনাতে আটক করে। আমতলী উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই বিষয়ে জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে চাঁদা আদায়ের রশিদসহ ঐ চাঁদাবাজকে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সোপর্দ করে। চাঁদা আদায়ের রশিদে আমতলী পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রুহুল আমীন টিপুর নাম দেখতে পেয়ে মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আটককৃত জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জোর দিয়ে বলেন, টিপুর নির্দেশে আমি তুলেছি। শুধু আমিই না ইসমাইল নামেও একজন এই চাঁদার রশিদ ব্যবহার করে চাঁদা তুলেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল, আমতলী উপজেলা শাখা চাঁদাবাজী ও সমাজের বিশৃংখলা সমর্থন করে না। স্বৈরাচার হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে আওয়ামীলীগের বিপথগামী নেতাকর্মী এবং তাদের সহযোগী ও সমর্থকরা বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল কখনোই এমন ঘৃণিত চাঁদাবাজী বা সমাজের শান্তি-শৃংখলা বিনষ্ট হয় এমন কোন কাজ সমর্থন করে না। সমাজের শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য ও শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বরগুনা জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি নাসির উদ্দিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ রুহুল আমিন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ফারুক হোসেন পিয়াদা, আমতলী উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন রাজু প্রমুখ।
মেসেঞ্জার/হিমাদ্রি/শাহেদ