ঢাকা,  সোমবার
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

ঝিকরগাছায় ১১ মাস বয়সী পুত্রকে হত্যার পর পিতার আত্মহত্যা

ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:১৩, ১২ আগস্ট ২০২৪

আপডেট: ১৫:৩৫, ১২ আগস্ট ২০২৪

ঝিকরগাছায় ১১ মাস বয়সী পুত্রকে হত্যার পর পিতার আত্মহত্যা

ছবি: মেসেঞ্জার

যশোরের ঝিকরগাছায় স্ত্রীর উপরে অভিমান করে ১১ মাস বয়সী শিশুপুত্রকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে পিতা।

রোববার (১১ আগস্ট) রাতে উপজেলার শরীফপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সোমবার (১২ আগস্ট) ভোরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারেন। নিহত ইমামুল হোসেন (২৮) ওই গ্রামের সৌদী আরব প্রবাসী আমজাদ হোসেনের ছেলে। ১১ মাস বয়সী শিশু আয়মান হোসেন ইমামুল হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী মমতাজ বেগম (২৩) বাপের বাড়িতে চলে যাওয়ায় ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে স্বামী ইমামুল হোসেন। এর আগে নিজের ১১ মাস বয়সী শিশু সন্তান আয়মান হোসেনকে গলাটিপে অথবা মুখে বিষ দিয়ে হত্যা করে সে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শরীফপুর গ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বল হোসেন জানান, কয়েকবছর আগে প্রেমের সম্পর্কে বড় ভাইয়ের শ্যালিকাকে বিয়ে করে ইমামুল। রোববার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে শিশুসন্তানকে রেখেই বাপের বাড়ি চলে যায় স্ত্রী। এ ঘটনার জেরে রাতে ছেলেকে মেরে পরে ইমামুল আত্মহত্যা করে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন স্বামী ইমামুল হোসেন তার স্ত্রী মমতাজ বেগমকে বাবার বাড়ি যেতে দিতেন না। এ জন্য রোববার সে শিশু বাচ্চা রেখে বাবার বাড়িতে চলে যায়। রোববার রাত ৮টার দিকে ইমামুল তার শিশু সন্তান আয়মান হোসেনকে নিয়ে শুয়ে পড়েন।

সোমবার সকাল ৭টার দিকে ইমামুলের মা রাহিমা বেগম তাকে ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পাশে ছোট বাচ্চার মরদেহ পড়েছিল। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ও পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নামায়। স্থানীয়দের ধারণা আয়মান হোসেনকে গলাটিপে বা বিষ দিয়ে তার পিতা হত্যা করতে পারেন ও নিজে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

ইমামুলের মা রহিমা বেগম বলেন, রোববার বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে আমার বউমা আর ছেলে গন্ডগোল করে। একপর্যায়ে ছোট শিশুকে ফেলে রেখে সে বাবার বাড়িতে চলে যায়। দিনেরবেলা আমি বাচ্চাটাকে খাওয়াদাওয়া করিয়ে কোনো রকম রেখেছিলাম।কিন্তু ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে আমার ছেলে ঘুমায়। সকালে উঠে দেখি আমার ছেলে রশিতে ঝুলছে। পাশে বিছানায় আমার ছোট্ট আয়মানের মরদেহ পড়ে রয়েছে।

ঝিকরগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন ভূঁইয়া নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে ইমামুল হোসেন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এর আগে সে শিশুপুত্রকে হত্যা করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বর্তমানে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

মেসেঞ্জার/আলমগীর/শাহেদ

×
Nagad