ছবি: মেসেঞ্জার
ঢাকার আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে নিহত সাকিনুর রহমানের (৩২) স্ত্রী মোসা. শারমিন বাদী হয়ে ১৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ।
নিহত সাকিনুর রহমান গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়েনের মো. ডালিমের ছেলে। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান (৬১)। অন্য আসামিরা হলেন মঞ্জু দেওয়ান (৫৮), মোয়াজ্জেম হোসেন (৫০), মোতালেব ব্যাপারী (৫৫), শাহাবুদ্দিন মাদবর (৫৮), আব্দুল লতিফ মণ্ডল (৫৭), এনামুল হক মুন্সি (৫০), মতিউর রহমান (৫২), সাদেক ভূঁইয়া (৫৭), কবির সরকার (৪০) সহ ১৫৮ জন। আসামিরা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, (৫ আগস্ট) বেলা দুইটার দিকে সাকিনুর রহমান বলিভদ্র বাজারে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। বেলা পৌনে তিনটার দিকে বাদী (শারমিন) খবর পান সাকিনুর রহমান বাইপাইল মোড় এলাকায় গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে আছেন।
তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানতে পারেন আহত ব্যক্তিদের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি হাসপাতালে গিয়ে সাকিনুরকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, পরে খোঁজ নিয়ে শারমিন জানতে পারেন বাইপাইল মোড়ে আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরাসহ আওয়ামী অঙ্গ সংগঠনের আরো আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি অস্ত্রসহ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান।
তাঁরা সাকিনুরকে পিটিয়ে ও গুলি করে গুরুতর আহত করেন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, নিহত ব্যক্তির স্ত্রী বাদী হয়ে ১৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মেসেঞ্জার/নোমান/তারেক