ছবি : মেসেঞ্জার
‘জেলা পরিষদ’ পুর্নগঠন না পার্বত্য চুক্তি মোতাবেক স্থানীয়দের ভোটার তালিকা প্রনয়ণ করে পার্বত্য জেলা পরিষদ এর ‘নির্বাচন’ ব্যবস্থা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে করতে হবে। পার্বত্য জেলা পরিষদের সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে যাহাতে স্থানীয় পাহাড়ী-বাঙালী বঞ্চিত না হয় সেজন্য ‘নির্বাচন’ অত্যান্ত জরুরী’ এমন দাবি জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) নেতারা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙামাটিতে ৬২তম শিক্ষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান পিসিপি’র নেতারা। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ বাস্তবায়নসহ সরকারি চাকরিতে ও দেশের সকল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫% কোটা চালু এবং আদিবাসী মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা চালু করার দাবিতে মঙ্গলবার সকালে জিমনেসিয়াম মাঠ প্রাঙ্গণ হতে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে রাঙামাটির প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরূপা ঘুরে এসে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েল সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন রাঙামাটি জেলার পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।
সমাবেশে রাঙামাটি জেলার পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সভাপতি জিকো চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপন ত্রিপুরা, রাঙামাটির যুব সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমিত্র চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উলিচিং মারমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাঙামাটির পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সাংগঠনিক সম্পাদক।
সমাবেশে বক্তরা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষ সব সময় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাসহ নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের সময়ে আদিবাসীদের বরাদ্ধ ৫% কোটা থেকে ১% শতাংশে নিয়ে আসা হয়।
যা ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চাকরির সুযোগ সুবিধা থেকে আদিবাসীরা বঞ্চিত হবে। আদিবাসীদের এ কোটার অধিকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতেও উল্লেখ রয়েছে। সুতরাং চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে পুনরায় ৫% কোটা আবার চালু করতে হবে। এছাড়াও অন্তর্বতীকালীন সরকারে মাধ্যমে আদিবাসীদের নিজের মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা চালু করতে হবে।
বক্তরা আলো বলেন, বহু বছর ধরে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর নির্বাচন হচ্ছে না। আওয়ামীল সরকার আমলে তাদের নেতাকর্মীরা সুযোগ সুবিধা পায় তেমনি বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তাদের নেতাকর্মীরা সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকে। এখানকার যারা স্থানীয় পাহাড়ী-বাঙালী বসবাস করেন তারা সর্বদা জেলা পরিষদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। আওয়ামী সরকারের সময়ে জেলা পরিষদের মাধ্যমে চাকরি ক্ষেত্রে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে।
১৫ লাখ, ২০ লাখ এমনকি ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে পরিষদের থেকে শিক্ষককের চাকরি নিয়েছে টাকার বিনিময়ে। শুধু তাই নয়, দুর্গম এলাকা সাজেক, জুরাছড়ির দুর্গম পাহাড়ে শিক্ষকের চাকরি নিয়ে পরে বর্গা দেওয়া হয় সেখানকার ছাত্রদের। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মনোনয়ন এর কারণে। সুতরাং বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের মাধমে পার্বত্য চুক্তি মোতাবেক এখানকার স্থানীয়দের ভোটার তালিকা প্রনয়ণ করে জেলা পরিষদ এর নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
মেসেঞ্জার/সুপ্রিয়/তারেক