যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে ওঠুক আর একবার- এই স্লোগান দিয়ে তারা প্রমাণ করেছেন বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে বিএনপি সরাসরি জড়িত এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করছে।
তিনি বিএনপিকে হুশিয়ারি করে বলেন, শেখ হাসিনাকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মেনে নিবে না। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী সজাগ রয়েছে। বিএনপির সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ছিদ্দিক হোসেন মোড়ল, তার দুই পুত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা রুহুল আমিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক এমপি অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনিরের আগমনের কথা শুনে কয়েক হাজার দলীয় নেতাকর্মী এ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল জনসভায় রুপ নিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে জ্বালা ধরে গেছে। শত বাঁধা দিয়েও পদ্মা সেতুর মত বৃহত্তর কাজকে ব্যাহত করতে না পারায় তারা মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে। তিনি বলেন, মিথ্যাচার দিয়ে জনগণকে ভুল বোঝানো যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন হয়েছে। বিভ্রান্ত করে তাদেরকে আর বিপথগামী করা যাবে না।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সংসদ নির্বাচন সমাগত। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করতে হবে। আগামীতে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জনপ্রিয় কর্মীদের নেতা বানাতে হবে। যারা নির্বাচনে আপনাদের সাথে নিয়ে শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পারে।
সোমবার বিকালে ছিদ্দিক, সিরাজুল, রুহুল আমিন স্মৃতি সংসদের আয়োজনে বল্লা বিএনকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ।
নির্বাসখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আলমগীর হোসেনের পরিচালনায় অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি জবেদ আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডিপুটি কমান্ডার শাহাজান আলী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম প্রিন্স, হাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু, প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাস্টার এনামুল কবীর, মীর বাবরজান বরুণ, আবুল কাশেম, জেলা কৃষকলীগ নেতা আকবর হোসেন জাপানী, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান আক্তার, হাজিরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা আসাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান, বাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার হেলাল উদ্দীন খান, পানিসারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, শংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আদম শফিউল্লাহ, নির্বাসখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউদ্দীন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্নআহবায়ক শামসুজ্জোহা লোটাস, শংকরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক নুরুল হক গাজী, পৌর যুবলীগের যুগ্নআহবায়ক মুনিরুল ইসলাম মিশর, ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়ন যুবকলীগের যুগ্নআহবায়ক মিলন হোসেন সাদ্দাম, সাবেক ছাত্রনেতা আবু সাঈদ মিলন, ছাত্রনেতা তানভির আহমেদ রাব্বি, স্বদেশ রেজা, ইছানুর রহমান প্রমূখ।
ডিএম/আরএ
