ঢাকা,  শনিবার
২৭ জুলাই ২০২৪

The Daily Messenger

এননটেক্স গ্রুপের অনুসন্ধান শেষই হচ্ছে না!

নজরুল ইসলাম

প্রকাশিত: ১১:৩৯, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১১:৪৫, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

এননটেক্স গ্রুপের অনুসন্ধান শেষই হচ্ছে না!

ছবি : সংগৃহীত

এননটেক্স গ্রুপভুক্ত ২২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে থাকা প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধান শেষই হচ্ছে না। টিমের পর টিম গঠন করেও কোনো কূলকিনারা করতে পারছে না দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এখন পর্যন্ত চারটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। জনতা ব্যাংকের এসব টাকা নয়ছয়ে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের গাফিলতিও খুঁজছে দুদক। ঋণ অনুমোদনে আইন ও নীতির শর্ত ভঙ্গ হয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আগের দুই টিমের মতো তৃতীয় টিমও অভিযোগ পরিসমাপ্তির সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। দুদক উপপরিচালক আবদুল মাজেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান এই প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তারা বলছেন, অনুসন্ধাকালে অভিযোগ রেকর্ডভিত্তিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু, কমিশন অনেকগুলো কোয়ারি করে পুনরায় অনুসন্ধানের জন্য উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নূর আলম সিদ্দিকীকে নিয়োগ করেছে। তার আগে আরও দুটি টিম একই অভিযোগ অনুসন্ধান করেছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, নতুন টিম প্রধান উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন অসুস্থ। তিনি চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।

উপপরিচালক আবদুল মাজেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া এলসি খুলে ব্যাংকের প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ২০১৬ সালের একটি অভিযোগ উপরিচালক সামছুল আলম অনুসন্ধান করেন। অনুসন্ধানে অভিযোগটি প্রমাণিত না হওয়ায় তিনি অভিযোগটি পরিসমাপ্ত করার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তার প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযোগটি কমিশন পরিসমাপ্ত করে।

মেসার্স এন, এইচ, গোল্ডেন জুট মিল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউনুস বাদল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জামানত না রেখে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের সহায়তায় শত শত কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে আত্মসাৎ সংক্রান্ত ২০১৬ সালের আরেকটি অভিযোগ উপপরিচালক সামছুল আলম অনুসন্ধান করেন। অভিযোগটি প্রমাণিত না হওয়ায় তিনি অভিযোগটি পরিসমাপ্ত করার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। কমিশন অভিযোগটি পরিসমাপ্ত করে।

দুদকের অনুসন্ধান চলা অভিযোগের সঙ্গে জনতা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুছ ছালাম আজাদ, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত ও জনতা ব্যাংক কর্পোরেট ব্রাঞ্চের সাবেক জিএম এবং ব্রাঞ্চ ইনচার্জ আহমেদ শাহনুরের নামও রয়েছে।

কমিশন জানতে চেয়েছে, ঋণ দেওয়ার সময় বাংলাদেশ ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকের গাউডলাইনে উল্লিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছিল কিনা। যে উদ্দেশে ঋণ দেওয়া হয়েছিল, সেই উদ্দেশে ঋণ ব্যবহার হয়েছে কিনা। মানিলন্ডারিং হয়েছিল কিনা। সিকিউরিটি সঠিক ছিল কিনা। সুদ মওকুফ করার এখতিয়ার ব্যাংকের ছিল কিনা। অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা ছিল কিনা। সিমি নিট টেক্স ও গ্যাট নিট টেক্স প্রকল্প ঋণের মধ্যে বৈদেশিক যন্ত্রপাতি কেনা বাবদ ছাড় করলেও বিদেশ থেকে আমদানির বদলে ইনডেন্টরের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে কিনা। ঋণ সংক্রান্তে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তগুলো আইনানুগ ছিল কিনা এবং সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে কিনা। এননটেক্স গ্রুপের ২০টি প্রতিষ্ঠানের স্থিতি ৫ হাজার ৭৬৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা অথচ ব্যাংকের মূলধন ৪ হাজার ১৭০ কোটি টাকা, এইক্ষেত্রে ব্যাংকের মূলধনের নির্দিষ্ট হারের অধিক ঋণ দেওয়া হয়েছে কিনা। কমিশন বলছে, এসব বিষয় পর্যালোচনা ও উল্লেখ না করেই অসম্পূর্ণ অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এই কারণে অনুসন্ধান টিমের কর্মকর্তাদের কারণ দর্শাতে এবং নতুন অনুসন্ধান টিম গঠন করতে বলা হয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে উপপরিচালক আবদুল মাজেদের নেতৃত্বাধীন টিম কারণ দর্শানোর জবাবও দিয়েছে।

এছাড়া, কমিশন সভায় কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করে পুনঃঅনুসন্ধান প্রতিবেদনে দাখিল করার প্রস্তাব করা হয়, সেগুলো হলো- এননটেক্স গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম ও ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে কোন ব্যাংক থেকে কি উদ্দেশে কার আবেদনের প্রেক্ষিতে কত টাকা লোন নেওয়া হয়েছে (অনুমোদিত ঋণ, বিতরণ করা ঋণ), লোনের ধরন ও লোনের প্রতিষ্ঠানভিত্তিক বর্তমান অবস্থা উপস্থাপন করা।

যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে পর্যাপ্ত জামানত রেখে প্রতিটি ঋণ দেওয়া হয়েছে কিনা, প্রতিটি ঋণের বরাদ্দপত্রের শর্ত যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে কিনা তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা।

এননটেক্স গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক থেকে নেওয়া লোনের ব্যাংক হিসাব বিবরণী পর্যালোচনা করে ফলো দ্য মানি অনুসরণ করে ঋণের টাকা কোন কোন কাজে ব্যয় করা হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করা এবং এর বেনিফিশিয়াল ওউনার কে, তা পর্যালোচনা করা। প্রতিটি ঋণের ক্ষেত্রে যথাযথ বিধি অনুসরণ করে বিপুল পরিমাণ নন ফান্ডেড ঋণ ফান্ডেড ঋণে পরিণত করা হয়েছে কিনা, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া।

প্রতিটি ঋণ পুনঃতফসিলকরণে প্রয়োজনীয় ডাউন পেমেন্ট কত টাকা ছিল, গ্রাহক কর্তৃক জমা করা ডাউন পেমেন্ট কত টাকা, প্রতিটি ঋণ পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শর্তাদি সঠিকভাবে প্রতিপালিত হয়েছে কিনা, তার ব্যাখ্যা। প্রতিটি ঋণের বিপরীতে মর্টগেজ রাখা জমি/সম্পত্তির বিবরণ, মূল্য ইত্যাদি সুনির্দিষ্টভাবে ছক আকারে উপস্থাপন করা।

গ্রহণ করা ঋণের টাকা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে কিনা, তার ব্যাখ্যা। প্রতিটি ঋণের ক্ষেত্রে ঋণ অনুমোদন ও প্রদান প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করা।

অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঋণগুলো পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন করার পর ১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত ঋণগ্রহীতা মোট ১৪৫,০৪,৭৬,৩২৯.৮৫ টাকা জমা দিয়েছেন।

দুদক সার্বিক পর্যালোচনায় দেখেছে, এননটেক্স গ্রুপের ২২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৩০ জুন, ২০২২ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত মোট জামানত/সহজামানতের পরিমাণ ৪৫৭৩.৬ কোটি টাকা, মঞ্জুরিকৃত ঋণের পরিমাণ ৩,৮৬২.৯৫ কোটি টাকা, বিতরণকৃত/সৃষ্ট ঋণের পরিমাণ ৫,০৮৩.০৮ কোটি টাকা, পরিশোধকৃত টাকা ১,৫৭২.৬৯ কোটি টাকা, বকেয়া সুদের পরিমাণ ২,৭১৯.৪৭ টাকা, বকেয়া আসলের পরিমাণ ৪,৯৬৮.৫২ টাকা ও সুদাসলের পরিমাণ ৭,৬৬৪.৭৩ টাকা।

জনতা ব্যাংক কর্পোরেট শাখার ম্যানেজার (জিএম) আশরাফুল আলম এবং ডিজিএম লিটন চৌধুরী দুদককে জানান, যে কোন ঋণের সুদ মওকুফ করে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দিলে সাধারণত ১২ মাসের জন্য করা হয়। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে প্রথমে ৬ মাসের জন্য অনুমোদন করা হয়। পরবর্তীতে আরো ৬ মাস সময় বৃদ্ধি করার জন্য গ্রাহকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত সুদ মওকুফ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। যা পরবর্তী বোর্ড সভায় অনুমোদন করা হবে। দুদকের অনুসন্ধান টিম তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, যেহেতু জনতা ব্যাংক লিমিটেড এননটেক্সভুক্ত ১৮টি প্রতিষ্ঠানের ৩৩৫৯.১৯ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করেছে এবং বকেয়া ৪৮১৯.৭৩ কোটি টাকা টাকা পরিশোধ করার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে, তাই বর্তমানে এই ঋণটি ক্লাসিফাইড নয়।

অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, এননটেক্স গ্রুপভুক্ত ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট মোট ২২টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জনতা ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক প্রদত্ত ঋণের ক্রমবিবর্তন লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ২৫ আগস্ট, ২০১৩ তারিখ পর্যন্ত ১০টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১৯৪১.৯৮ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়। ওই তারিখে প্রতিষ্ঠান ১০টির ঋণের স্থিতি ছিল ১৪৫৩.২৯ কোটি টাকা। পরবর্তীতে আরও ১২টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণ বিতরণ করা হয় এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মোট ২২টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণ স্থিতি ছিল ৩৩১৮.০০ কোটি টাকা, যা বৃদ্ধি পেয়ে যথাক্রমে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ তারিখে ৬,০৩৫.৭৩ কোটি টাকা, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে ৬,৩০৪.৩৪ কোটি টাকা ও ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে ৬,৫২৬.৫৭ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। এর কারণ হিসেবে বলা যায়, ২০১৩ সালের পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নতুন ১২টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণ প্রদানসহ এননটেক্স গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে বেশ কিছু নন্-ফান্ডেড দায় সৃষ্টি হয়। বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেনের বিষয়ে Uniform Customs and Practice for Documentary Credits (UCPDC) এর বাধ্য বাধকতায় বৈদেশিক ব্যাংকগুলোকে পেমেন্ট এবং সুদারোপ করার জন্য ২০১৮ সালে ওই প্রতিষ্ঠানের দায় বৃদ্ধি পায়। ৬,৫২৬.৫৭ কোটি টাকার মধ্যে ২০১৯ সালে প্রায় ১,৮০০ কোটি টাকা পুনঃ তফশিলের মাধ্যমে নিয়মিত করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে ইউনুছ বাদলের মোবাইলফোন নম্বরে কল করা হলে তিনি নম্বরটি তার নয় বলে কেটে দেন। তার আরও একটি মোবাইলফোন নম্বরে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে দুইটি নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট এবং ইমেইল অ্যাড্রেসে মেসেজ দেওয়া হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

এননটেক্সগ্রুপভুক্ত ২২ টি প্রতিষ্ঠান হলো, গ্যালাক্সি সোয়েটার অ্যান্ড ইয়ার্ন ডাইং লিমিটেড, সুপ্রভ কম্পোজিট নিট লিমিটেড, সিমরান কম্পোজিট নিট লিমিটেড, জ্যাকার্ড নিট টেক্স লিমিটেড, সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেড, সুপ্রভ রোটর স্পিনিং লিমিটেড, এম এইচ গোল্ডেন জুট মিলস লিমিটেড, সিমি নিট টেক্স লিমিটেড, এফ কে নিট টেক্স লিমিটেড, গ্যাট নিট টেক্স লিমিটেড, জারা নিট টেক্স লিমিটেড, স্ট্রাইগার কম্পোজিট লিমিটেড, আলভী নিট টেক্স লিমিটেড, এম-নূর সোয়েটার লিমিটেড, জেওয়াইবি নিট টেস্ক, জারা লেবেল অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, এননটেক্স নিট টেক্স লিমিটেড, সুপ্রভ মিলাঞ্জ স্পিনিং লিমিটেড, শবমেহের স্পিনিং মিলস লিমিটেড, শাইনিং নিট টেক্স লিমিটেড, জারা ডেনিম লিমিটেড ও লামিসা স্পিনিং লিমিটেড।

দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র দ্য ডেইলি মেসেঞ্জারকে জানিয়েছে, ব্যাংকিং অনিয়ম ও দুর্নীতি বিষয়ে অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের দিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত না করিয়ে অন্যদের দিয়ে টিম করিয়ে অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার কাজে সফলতা দেখাচ্ছে দুদক। ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান, প্রভাবশালী ব্যক্তি ও গ্রাহক রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অদক্ষ লোক দিয়ে টিম করিয়ে রেখেছে। নির্ধারিত সময়ের পর যেন আর আলামত খুঁজে না পেয়ে পরিসমাপ্ত করতে পারে। এভাবে অসংখ্য অভিযোগ দুদক ডিপ ফ্রিজে রেখে দেশ ও জাতির ক্ষতি করছে। কালক্ষেপণ করাই মূল উদ্দেশ্য।

মেসেঞ্জার/দিশা