গ্রেপ্তারকৃত ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ। ছবি: ডেইলি মেসেঞ্জার
আরটিজিএস (রাইট টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট) মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে টাকা কর্তন ও গ্রাহকের ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। আব্দুল ওয়াদুদ নামের ওই কর্মকর্তা ব্যাংকটির ফার্স্ট অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মগবাজার শাখায় কর্মরত ছিলেন। শাখা ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমানের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আব্দুল ওয়াদুদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শাখা ব্যবস্থাপক। অভিযোগে তিনি বলেন, আসামি ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট থেকে এ বছরের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকের একাধিক গ্রাহকের মোট ৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। তিনি শাখার ফরেন এক্সচেঞ্জ প্রধান এবং পরবর্তীতে ম্যানেজার অপারেশন্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যাংকের গ্রাহক আলিনা অটো বাইকের স্বত্বাধিকারি মো. কবির হোসেনের চলতি হিসাব হতে গত ১৭ আগস্ট ২ কোটি ২১ লাখ টাকা আশরাফ এন্টারপ্রাইজের এলসি মার্জিন থেকে কেটে নেন। এ ছাড়া অভিযোগকৃত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন তারিখে এলসি সিকিউরিটি মার্জিন বাবদ আরও অতিরিক্ত ১ কোটি ৭৩ লাখের অধিক টাকাসহ মোট ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা অন্যত্র স্থানান্তর করেন।
অভিযোগ মতে, আসামি আব্দুল ওয়াদুদ তার নিজ আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আলিনা অটো বাইক ইন্ডাস্ট্রিজ, আশরাফ এন্টারপ্রাইজ, তানজিল এন্টারপ্রাইজ, ইয়ামিন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স নারগিস মটরস এর এলসি মার্জিন হিসাব থেকে কেটে আরটিজিএসের মাধ্যমে ৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। আসামি এর মধ্যে কিছু টাকা গ্রাহকের হিসাবে ফেরত দিয়েছেন বলেও জানা যায়।
এ বিষয়ে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মো. আওলাদ হোসেন দ্য ডেইলি মেসেঞ্জারকে বলেন, ব্যাংকের কর্মকর্তার করা মামলায় আমরা আসামীকে গ্রেপ্তার করি। আজ বিকাল ৩টায় আমাদের অনুরোধে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। আগামীকাল কোর্টে পাঠানো হবে।
ব্যাংকের কর্মকর্তা গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় ইসলামি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনিরুল মওলার সঙ্গে। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ব্যাংকটির মুখপাত্র নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি জেনে জানাবেন বলে জানান।
মেসেঞ্জার/আমান/আল আমিন
