ছবি: ডেইলি মেসেঞ্জার
মিলনমেলা যেন হয়ে উঠেছিল এক টুকরো ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস। দিনভর আনন্দ, আড্ডা, হই-হুল্লোড় আর উৎসবের মাঝে সবাই ফিরে গিয়েছিল ৩০ বছর আগে ঢাকা কলেজে এইচএসসি পড়ার সময়টাতে। বন্ধুত্ব, স্মৃতিকারতা আর আড্ডায় বার বার ফিরে আসছিল ক্লাসরুম, প্রিয় শিক্ষকের মুখ, ছাত্রাবাসের জীবন, ক্যান্টিন, আর শহীদ মিনারের সামনে আড্ডামুখর দিনগুলো। তারুণ্য ভর করেছিল সবার মনে। সকাল থেকে সন্ধ্যা– তবু যেন আড্ডা ফুরোয় না।
‘ঢাকা কলেজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এইচএসসি ৯৬’ এই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয় ময়মনসিংহের ভালুকার অরণ্য ইকো রিসোর্টে। সুপরিসর, সাজানো গোছানো রিসোর্টটিতে গতকাল শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এই মিলনমেলার আয়োজন করা হয়। আনন্দ-ফূর্তি, খেলাধুলা, সংগীতানুষ্ঠান, প্রীতিভোজ আর আড্ডায় কাটে সারা দিন। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে ব্যান্ড দল ‘সমর্পণ’। আর সদস্যদের জন্য শুভেচ্ছা উপহার দেন অ্যালামনাই সদস্য ব্যবসায়ী সেলিমুজ্জামান জুয়েল।
মিলনমেলার সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন র্যাব-১৪ সিও, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এডিশনাল ডিআইজি) মো. মহিবুল ইসলাম খান। এর আহ্বায়ক ছিলেন রায়হান আজাদ টিটো। অ্যালামনাইয়ের সভাপতি সুজাদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসাইনের কঠোর পরিশ্রম ও উদ্যোগে অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৯৬ সালে এইচএসসি পাসের পর উচ্চ শিক্ষাসম্পন্ন করে অ্যালামনাই সদস্যরা আজ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। সরকারি-বেসরকারি চাকরি, আইন-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য– সব ক্ষেত্রেই অ্যালামনাই সদস্যদের অবাধ বিচরণের পাশাপাশি রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বন্ধুদের সাথে দেখা করার আকাঙ্ক্ষায় অনেকেই ছুটে এসেছেন দূর-দুরান্ত থেকে।
‘ঢাকা কলেজ অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এইচএসসি ৯৬’ দীর্ঘদিন ধরেই নানা ইতিবাচক কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটিতে সভাপতি হিসেবে সুজাদুর রহমান, সহ-সভাপতি মো. মহিবুল ইসলাম খান, শহিদুল্লাহ সোহেল, মো. তারিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী মোক্তাফি মাহমুদ শাহ পয়েল ও মো. নজরুল ইসলাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আশরাফুল আলম মানিক, প্রকৌশলী মঞ্জুর আলম, সাইদুর রহমান শাহীন, মো. জহির উদ্দিন জয় ও সৈয়দ গোলাম মোস্তফা প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়েদ আলী অপু, মো. লোকমান হোসেন চৌধুরী খোকা, রবিউল ইসলাম রুবেল, রাশেদ মোবারক ও ওমর ফারুক মিহন, অর্থ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, সহ-অর্থ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বিপ্রদীপ দাশ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মইনুল হোসেন শাহিন, সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান মিলন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম সীমান্ত (একেএম সীমান্ত), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মঈনুল তালুকদার রবিন, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদুর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক গাজী হোসেল, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক তারিকুল হাসান টিটো, দপ্তর সম্পাদক হেদায়েত উল্লাহ (মোরাদ বিক্রমপুরী), সহ-দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান বুলবুল, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম খান শাহিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ওবায়দুল রহমান অভি, সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল হক শরিফ (নাসির), স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রাকিবুল ইসলাম বাবু, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এ জেড এম সেলিম, আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির এবং সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রয়েল দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ছাড়া নির্বাহী সদস্য হিসেবে আছেন রায়হান আজাদ টিটো, রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, শাহিনুর রহমান টুটুল, খন্দকার তারিকুল ইসলাম তারেক, জুলফিকার হায়াত, রেদোয়ান আহমেদ, মো. সাইদুর রহমান, কর্নেল রাশেদ হাসান রাহাত, কামরুল হাসান, কর্নেল গোলাম মাবুদ হাসান শান্ত, নাছির উদ্দিন আহমেদ, মো. আসাদুজ্জামান সরকার, আব্দুন নুর সজল, ডা. মো. সায়িম রহমান ভূইয়া, দীন ইসলাম, ডা. রাজিব কুমার বণিক, মাহবুবুল করিম শাহিন, জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, মো. মোজাম্মেল হক রাজু, সারোয়ার মোর্শেদ, আসাদুজ্জামান খান লাভলু ও এফএ মামুন মাসুদ।
মেসেঞ্জার/হাওলাদার