ঢাকা,  সোমবার
১১ নভেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

সিরাত মাহফিলে এসে ৭দিন ধরে নিখোঁজ ঢাবি শিক্ষার্থী নাহিদের ভাই

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৩৫, ১২ অক্টোবর ২০২৪

সিরাত মাহফিলে এসে ৭দিন ধরে নিখোঁজ ঢাবি শিক্ষার্থী নাহিদের ভাই

ছবি : মেসেঞ্জার

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সিরাত মাহফিলে এসে আর বাসায় ফেরেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ নাহিদ ইসলামের ছোট ভাই মো. তৌহিদুল ইসলাম (১৮)। সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ নিয়ে এবং থানায় জিডি করেও ৭দিন ধরে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। 

শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ১টায় সিদ্দিক বাজারে তার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নাহিদ ইসলামের সাথে দেখা করে সিরাত মাহফিলে গিয়ে সেখান থেকে ফেরেননি তৌহিদুল।

তৌহিদুল ইসলাম (১৮) আগে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। সম্প্রতি পড়াশোনা ছেড়ে ভাইয়ার সাথে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে থাকে। তার বাবার নাম বাবা মো. জামাল মিয়া এবং মাতা মোছা: নাছরিন বেগম। তার উচ্চতা ৫.৭', গায়ের রং ফর্সা, মাথার চুল ছোট করে কাটা। হারানোর সময় তার পড়নে সাদা গেঞ্জি ও সাদা ট্রাউজার ছিলো। তার স্থায়ী ঠিকানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নে।  

হারানোর কিছুদিন আগে থেকে সে বিভিন্ন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতো বলে জানিয়েছেন তার বন্ধুরা। এসময় তৌহিদুল কখন কি বলতো তার ঠিক ছিলো না বলে জানান তারা। 

ছোট ভাই হারানো প্রসঙ্গে বড় ভাই নাহিদ ইসলাম বলেন, (৫ অক্টোবর) আমার ছোট ভাই সিদ্দিক বাজারে বড় ভাইয়ের কাছ থেকে আমার সাথে ক্যাম্পাসে দেখা করে। পরে দুপুর ২ টার সময় সিরাত মাহফিলে অংশগ্রহণের জন্য বের হয়। পরবর্তীতে আর কোন খোঁজ পাইনি। সে বাড়িতেও যায়নি, বড় ভাইয়ার কাছেও যায়নি। 

জিডি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা থানায় জিডি করেছি, নিজেরাও সব জায়গায় খোঁজ নিয়েছি কিন্তু আমার ভাইয়ের কোন হদিস পাইনি। যদি কেউ আমার ভাইয়ের সন্ধান পেয়ে থাকেন, অনুগ্রহ করে নিন্মোক্ত ঠিকানা অথবা নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।

শাহবাগ থানার এসআই টি এম মঞ্জুর মুরাদ বলেন, বাদী জিডি করার পরপরই আমি আমার সকল কাজ সম্পাদন করেছি। আমরা বেতার বার্তায় নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তির সকল বিবরণ লিখে দেশের সকল থানা ও ডিএমপির ভেতরে সকল জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন দেশের যেকোনো জায়গায় যদি তার খোঁজ মিলে আমাদের কাছে সেই তথ্য চলে আসবে। এরপর আমরা তাকে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করবো।

মেসেঞ্জার/নকিব/তারেক