ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৬ এপ্রিল ২০২৪

The Daily Messenger

বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘জাতীয় শোক দিবস’ পালন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৫০, ১৬ আগস্ট ২০২২

আপডেট: ১৩:৫৬, ১৬ আগস্ট ২০২২

বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘জাতীয় শোক দিবস’ পালন

জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস।

গভীর শোক, শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্য দিয়ে বাহরাইনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭-তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস সোমবার সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে কর্মসূচির সূচনা করেন।

দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতেই বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট  নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। এসময় বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রর্দশন করা হয় এবং জাতির পিতার জীবন ও কর্মের উপর উন্মুক্ত আলোচনা  অনুষ্ঠিত হয়।

চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মহিউদ্দিন কায়েস বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর ব্যক্তিসত্তাকে বাঙালি জাতিসত্তায় রূপান্তরিত করেছিলেন। নিজের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে জাতীয় স্বার্থের তরে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তাই তিনি বাংলার সব বর্ণের, সব ধর্মের, সব মানুষের এক অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরেই দেশ পরিচালনার এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে বঙ্গবন্ধুর মানবিক হাতের স্পর্শ লাগে নি।

দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স আরো বলেন, ‘যে নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ঘাতকেরা সেই নীতি ও আদর্শকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু, ঘাতকের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধু মিশে আছেন মানুষের হৃদয় জুড়ে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবহমান থাকবে। এছাড়া, তিনি বাহরাইনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে জাতির পিতার মহান আদর্শ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে সকলকে তাদের প্রয়াস অব্যাহত রাখার আহবান জানান এবং দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের অনুরোধ করেন।’

পরিশেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা এসকল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

ডিএম/ইএইচএম

dwl
×
Nagad