ছবি : মেসেঞ্জার
ভ্রমণই যার নেশা, বিশ্ব ভ্রমণের নেশায় ছেড়েছেন চাকুরি! বলছি মোটরসাইকেল রাইডার চট্রগ্রামের মাসদাক চৌধুরীর কথা। ভ্রমণ পিপাসু চট্রগ্রামের এই রাইডারের যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছে স্ত্রী মলিহা চৌধুরানী। আটটি দেশ ঘুরে বাংলাদেশের এই বাইক রাইডার দম্পতি বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর্যটন নগরী দুবাইয়ে অবস্থান করছেন।
সড়ক পথে দু’চাকার বাহনে বাংলাদেশের রেজিস্ট্রার নাম্বার প্লেইট নিয়েই এতদূর পথ পাড়ি দিয়েছেন। উদ্দ্যেশ্য বিশ্ব ভ্রমন ও একই সাথে পূণ্যভূমি মক্কায় গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালন।
মাকসাদ চৌধুরী জানান, এবাই প্রথমবার না করোনার পুর্বে ২০১৯ সালেও তিনি ওমরাহ্ উদ্দেশ্যে একা বের হন। তবে বাদ সাধে মহামারি করোনাভাইরাস। অনিচ্ছা শর্তেও দেশটির আন্তর্জাতিক লক ডাউন নীতির বাঁধার কারণে হতাশ হয়েই দুবাই থেকে দেশে ফিরে যান।
আবারো একই উদ্দেশ্যে নিয়ে দেশ থেকে তাঁর প্রিয় মোটরসাইকেল নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। তবে এবার আর একা নয় সফরসঙ্গী হয়েছেন তার সহধর্মিণী। দুই চাকার বাহন নিয়ে ঘুরেছেন ইন্ডিয়া, পাকিস্থান, আফগানিস্থান, তাজিকিস্থান, ওজবেকিস্থান, ইরান এবং ওমানে।
আটটি দেশ ঘুরে দুবাইয়ের রাস্তায় একশত রাইডারদের সাথে বাংলাদেশের রেজিস্ট্রার বাইক নিয়ে অংশ নিয়েছেন মোটরসাইকেল রাইডিং। পেয়েছেন দুবাইয়ের বাইক রাইডারদের থেকে সম্মাননা।
ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিয়ে এই দম্পতি জানান, প্রতিটি দেশে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি পেয়েছেন ভালোবাসাও। এদিকে দুবাইয়ের রাস্তায় চট্টমেট্টো নাম্বার প্লেইট দেখে রীতমতো অবাকও হয়েছেন অনেকেই। তাই বাংলাদেশি প্রবাসীরা নিজ থেকেই এসে জানতে চান তার ভ্রমনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে।
প্রবাসীদের আতিথ্যায়নে মুগ্ধ হয়েছে বলেও জানান এই দম্পতি। আরব দেশগুলো ভ্রমণ ও ওমরাহ পালন শেষে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা ইউরোপের দেশগুলোতে যাত্রা করা।
মেসেঞ্জার/আশরাফুল/আপেল