স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ছবি : সংগৃহীত
চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, যে অপারেশন করতে দেশের বাইরে গেলে লাগত এক কোটি টাকা, বাংলাদেশে সেটি করা হয়েছে বিনামূল্যে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের দশম তলায় নাভা ও নোভা নামের দুই শিশুর জোড়া মাথার সফল অস্ত্রোপচার শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রচুর শিক্ষার্থী প্রতি বছর মেডিকেলের পড়ালেখা শেষ করে চিকিৎসক হচ্ছেন। আমাদের চিকিৎসকরা যেমন মেধাবী তেমন দক্ষ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে এবং তাদের দায়িত্ব অনুযায়ী ভরসা দিয়ে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। তাহলে বাংলাদেশ থেকে কোনো রোগীকে আর আগামীতে বিদেশ যেতে হবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন আগেই আমরা ভুটানের ক্যান্সার আক্রান্ত এমন এক মেয়েকে চিকিৎসা দিয়ে ভালো করেছি। যার চিকিৎসা ভারত ও ব্যাংককেও সম্ভব হয়নি। কাজেই বাংলাদেশ পারে না এমন কোনো কাজ নেই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশেই এখন সব রোগের চিকিৎসা সুবিধা আছে। আজ বিএসএমএমইউতে নাভা ও নোভা নামের দুটি শিশুর জোড়া মাথা আলাদা করার অপারেশন সাকসেসফুল (সফল) হলো। এটি সাধারণ কোনো কাজ নয়।’
মন্ত্রী আরও বলেন, এখানে আমাদের অভিজ্ঞ বড় একটি চিকিৎসক টিম একটানা ১৩ ঘণ্টার বেশি সময় অপারেশন করে এই অসাধ্য সাধন করেছেন। এই অপারেশন ভারত বা বাইরের দেশে করতে গেলে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হতো।
বাংলাদেশে এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধে ফান্ডিং বৃদ্ধি করার বিষয়ে গ্লোবাল ফান্ড প্রতিনিধিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে এইডস রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া নির্মূলে অনেক কাজ করার রয়েছে।
এগুলোর পাশাপাশি দেশব্যাপী বার্ন বা পোড়া অনেক রোগীর নানাবিধ চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল হওয়ায় যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া নির্মূলের সঙ্গে স্বাস্থ্যখাতের অন্যান্য সেবাখাতে অর্থায়ন বাড়ালে এসব রোগ বাংলাদেশ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যেই যেমন নির্মূল করা সম্ভব হবে, একইসঙ্গে অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের মানও বেড়ে যাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ, নাভা-নোভার মাসহ অন্যান্য সিনিয়র চিকিৎসকরা।
মেসেঞ্জার/সুমন