
মিরা মুরাতি। ছবি: টেকক্রান্স
ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মিরা মুরাতি। তিনি একজন মুসলিম নারী। এর আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্যদ তাকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছে।
নতুন নিয়োগ পাওয়া এই মুসলিম নারী আলবেনিয়ার এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন। ডার্টমুথ কলেজে স্নাতকের পড়াশোনা করার সময় একটি হাইব্রিড রিঅ্যাক্টর তৈরি করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন মিরা। এরপর এনালিস্ট হিসেবে গোল্ডম্যান স্যাকস ব্যাংকে যোগ দিয়েছিলেন। এ ছাড়া এক এরোস্পেস কোম্পানিতে হার্ডওয়্যার প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন।
এসব প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ইলন মাস্কের সঙ্গে টেসলায় প্রধান সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন এ মুসলিম নারী। এরপর দালি নামের আর্টিফিশিয়াল আর্টিস্ট প্রকল্পের প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন মিরা।
২০১৮ সালে ওপেনএআইতে যোগ দিয়েছিলেন মিরা। গত বছরই তাকে ওপেনএআইয়ের সিটিও করা হয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন পরিস্থিতিতে সংস্থার প্রধান হয়ে সংস্থার কর্মীদের হতবুদ্ধি না হয়ে কাজ চালিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর কর্মীদের উদ্দেশে একটি মেমো লিখেছেন মিরা। সেখানে তিনি জানান, আমরা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছি। আমাদের এই টুল ব্যাপকভাবে গৃহীত হচ্ছে। ডেভেলপাররা সক্রিয়ভাবে আমাদের প্ল্যাটফর্মে কাজ করছে এবং নানা জিনিস তৈরি করছেন এবং নীতিনির্ধারকরা এই সিস্টেমগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার সর্বোত্তম উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করছেন। আমাদের তাই এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতের জন্য আমাদের সামনে একটি সুযোগ রয়েছে। সেখানে যাতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা) এমনভাবে তৈরি করা হয় যা ভালোর জন্যই ব্যবহার করা হয়। তিনি ওপেনএআইয়ে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী সংস্থা মাইক্রোসফটের সঙ্গে তাদের জুটি অক্ষত থাকবে বলেও জানিয়েছেন।
এর আগে এক বিবৃতিতে ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ জানিয়েছে, যথাযথ পর্যালোচনা প্রক্রিয়া মেনেই স্যামকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি (স্যাম) পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে খোলাখুলি যোগাযোগ করছিলেন না। ফলে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় পর্ষদের সক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল।
ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের এমন সিদ্ধন্তের পর এক টুইটারে (এক্স) এক পোস্টে স্যাম বলেন, ওপেনএআইয়ে আমার সময়টা বেশ ভালো লেগেছে। ব্যক্তিগতভাবে এটা আমার জন্য পরিবর্তন বয়ে নিয়ে এসেছে। আশার কথা হলো বিশ্বেও এটি পরিবর্তন এনেছে। এমন ধরনের প্রতিভাবান মানুষের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমার বেশ ভালো লেগেছে।
মেসেঞ্জার/আল আমিন