সাইড স্ট্রেইন ইনজুরিতে পড়ে ৮১ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট করেন লিটন দাস।
বাংলাদেশ এবার হেরে গেলো তাদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতেও। এই ফরম্যাটে পারফরম্যান্সে বড় দলগুলোর সঙ্গে পাল্লা দেয়া টাইগাররা এবার জিম্বাবুয়ের কাছে নাকাল হলো ৩০৩ রান করেও।হারারেতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আজ (শুক্রবার) সিকান্দার রাজা আর ইনোসেন্ট কায়ার জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩০৪ রানের লক্ষ্য ৫ উইকেট আর ১০ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন রাজা। ১০৮ বলে ৮ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় তিনি অপরাজিত থাকেন ১৩৫ রানে।
অথচ বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়ের শুরুটা একদমই ভালো ছিল না। প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন মোস্তাফিজুর রহমান। কাটার মাস্টারকে কাট করতে গিয়ে স্টাম্পে বল টেনে আনলেন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক রেগিস চাকাভা। ২ রান করেই ফিরলেন বোল্ড হয়ে। এর পরের ওভারে বল হাতে নিয়ে উইকেট তুলে নেন শরিফুল ইসলামও। এবার তারিসাই মুসাকান্দা কভারে বল আকাশে তুলে দিয়ে হন মোসাদ্দেক হোসেনের সহজ ক্যাচ। ৬ রানে ২ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
শুরুর সেই ধাক্কা অনেকটাই সামলে নেন মেদভেরে আর ইনোসেন্ট কায়া। তাদের জুটিটা থিতু হয়ে গিয়েছিল। ৬৮ বলে ৫৬ রানের এই জুটিটি শেষতক ভাঙে রানআউটে। ১৪তম ওভারে এসে ৬২ রানে ৩ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মজার বিষয় হলো, একটি মিসফিল্ডিংই যেন ‘শাপেবর’ হয় টাইগারদের। বল ফিল্ডারের হাত থেকে ছুটে গেলে এক রানের জায়গায় দুই নিতে ছুটেছিলেন ইনোসেন্ট কায়া আর ওয়েসলে মেদভেরে।
কিন্তু ননস্ট্রাইক এন্ডে পৌঁছাতে পারেননি মেদভেরে (১৯)। বদলি ফিল্ডার তাইজুল ইসলাম বল প্রথমে ধরতে না পারলেও সঙ্গে সঙ্গে হাতে তুলে জোরে থ্রো করেন। সেটি ধরে চোখের নিমিষে উইকেট ভেঙে দেন বোলার মেহেদি হাসান মিরাজ।
এরপরই কায়া আর সিকান্দার রাজার প্রতিরোধগড়া জুটি। জুটিটা ভাঙতে পারতো ৮১ রানে। রানআউটের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, একটুর জন্য বেঁচে গেছেন কায়া। ৬২ রানে ৩ উইকেট তুলে নেওয়ার পর বাংলাদেশ শিবিরে ছিল স্বস্তির হাওয়া। সেই হাওয়া মিলিয়ে দেন সিকান্দার রাজা আর ইনোসেন্ট কায়া সেঞ্চুরি জুটিতে। এই জুটিই ম্যাচ জিম্বাবুয়ের হাতে তুলে দেয়।
১৭২ বলে তাদের ১৯২ রানের ঝড়ো জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন মোসাদ্দেক, ইনিংসের ৪২তম ওভারে। স্লগ করতে গিয়ে ইনোসেন্ট কায়া টপ এজ হন। ১২২ বলে ১১ চার আর ২ ছক্কায় জিম্বাবুইয়ান এই ব্যাটার খেলেন ক্যারিয়ারসেরা ১১০ রানের ইনিংস। এর আগে তামিম ইকবাল, লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়ের পর মুশফিকুর রহিম- টপ অর্ডারের প্রথম চার ব্যাটারের ফিফটিতে ২ উইকেটেই ৩০৩ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল বাংলাদেশ।
ডিএম/ইএইচএম