ঢাকা,  মঙ্গলবার
০৬ মে ২০২৫

The Daily Messenger

বিএডিসি সেচ ভবনে স্বয়ংক্রিয় স্প্রিংকলার সেচ পদ্ধতি উদ্বোধন

মেসেঞ্জার অনলাইন

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ৮ মার্চ ২০২৪

বিএডিসি সেচ ভবনে স্বয়ংক্রিয় স্প্রিংকলার সেচ পদ্ধতি উদ্বোধন

ছবি : সৌজন্য

বিএডিসি'র বৃহত্তর ঢাকা জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালিত স্প্রিংকলার সেচ পদ্ধতি স্থাপন করা হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য হল ৫৫℅ থেকে ৬৫% পানির অপচয় রোধ, আগাছা, ফাঙ্গাস, উদ্ভিদ রোগ নিয়ন্ত্রন ও সেচ খরচ হ্রাস। মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাগান/জমিতে উপস্থিত না থেকেও এ সেচ কাজ পরিচলনা করা। 

ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বিএডিসি সেচ ভবনে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সদস্য পরিচালক (ক্ষুদ্র সেচ) মো. মজিবুর রহমান, সদস্য পরিচালক (সার ব্যাবস্থাপনা) মো. আশরাফুজ্জামান, সদস্য পরিচালক (অর্থ) মো. ওসমান ভুইয়া, সচিব, বিএডিসি ডা. কে এম মামুনুজ্জামান, প্রকৌশলী শিবেন্দ্র নারায়ন গোপ, প্রধান প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ), আরও ছিলেন, প্রকৌশলী মো. বদিউল আলম সরকার, প্রধান প্রকৌশলী (নির্মাণ), প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী (সওকা), প্রফেসর ড. মুসফিকুস সালেহীন আইডব্লিউএফএম, বুয়েট, এবং  প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওয়াহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক, বৃহত্তর ঢাকা জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প প্রমুখ। 

স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালিত স্প্রিংকলার সেচ পদ্ধতি পরিচালনার জন্য রয়েছে মোবাইল অ্যাপ এ রয়েছে রেইন সেন্সর, ময়েশ্চার সেন্সর, জোন কন্ট্রোল, ওয়াটার সিডিউলিং, পানির দিক নির্দেশনা নির্ধারণ সহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম। যেমন: রেইন সেন্সর: সেচ চলমান অবস্থায় যদি বৃষ্টি হয় তাহলে পাম্প স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। ময়েশ্চার সেন্সর: সবজি চাষাবাদে ৪০ থেকে ৮০% ময়েশ্চার প্রয়োজন হয় । ফসল এর ধরণ এর ভিত্তিতে তা ভিন্ন হয় । এক্ষেত্রে অ্যাপ এর মাধ্যমে ময়েশ্চার নিয়ন্ত্রন করা যায়। ফলে পানির পরিমান বেশি হলে পাম্প স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। জোন কন্ট্রোল: একই সাথে অনেক গুলো স্থানে সেচ প্রদানের জন্য এই অ্যাপ এর মাধ্যমে জোন তৈরি করে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে জমি ভেদে সেচের পরিমান ও সময় সেট করা যায়। পানির দিক নির্দেশনাও বিভিন্ন এঙ্গেলে নির্ধারণ করা যায়। ওয়াটার সিডিউলিংয়ের মাধ্যমে প্রতিদিন কোন সময় কত মিনিট সেচ দেওয়া লাগবে সেটা নির্ধারণ করা যায়।

এছাড়া বিএডিসি'র প্রকল্পের মাধ্যমে বর্তমানে স্প্রিংকলার সেচ পদ্ধতি সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের শ্যামপুরে গোলাপ ফুল চাষে এবং বনগাঁও ইউনিয়নের গান্ধারিয়া মৌজায় সবজি চাষে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে তাদের গাছের আগাছা ও পোকামাকড় এর আক্রমন কম হওয়ায় ফলন ভাল হচ্ছে ও ফুল এর রঙ, উজ্জ্বলতা হচ্ছে আরো নন্দনীয় হয়।

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, বৃহত্তর ঢাকা জেলায় সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় পর্যায়) থেকে ৩টি স্থানে এ সেচ পদ্ধতি স্থাপন করা হয়েছে। তবে পরবর্তী ৪র্থ পর্যায়ের প্রকল্পে বৃহত্তর ঢাকার ৬ জেলার ৩২ টি উপজেলায় এ কার্যক্রন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। 

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওয়াহিদুল ইসলাম আরও জানান, যে সকল নতুন উদ্যোক্তারা ফল, ফুল বা সবজি বাগান করে সাবলম্বী হচ্ছে তাদের জমিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালিত স্প্রিংকলার সেচ পদ্ধতি স্থাপনের ক্ষেত্রে কারিগরি সহযোগিতা করবেন।

মেসেঞ্জার/সজিব