
ছবি : মেসেঞ্জার
বগুড়ায় ১৯১ বোতল ফেন্সিডিলসহ ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২। মাদক বহনকারী দুটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করেছে। সোমবার রাতে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলার বেতগাড়ি এলাকা থেকে এদেরকে আটক করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলা মৌজাশাঘাতি এলাকার মো: গফুর আলীর ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম (১৯), একই উপজেলার কোটমারী এলাকার মনির হোসেনের ছেলে মোঃ শান্ত (২৭), কাশিরাম এরাকার মৃত তাহের আলীর ছেলে মোঃ জামিরুল ইসলাম (৩২), একই উপজেলার তালুকশাঘাতি এলাকার মকছেদুর রহমানের ছেলে মহুবর রহমান (২৭), চামটারবাস এলাকার মৃত শান্তারামের ছেলে শ্রী শ্যামল চন্দ্র রায় (৩২)। মঙ্গলবার (১৪ মে ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে র্যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডার ( পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন এসব তথ্য জানান।
র্যাব-১২ কমান্ডার আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, লালমনিরহাট হতে ঢাকাগামী মাইক্রোবাসযোগে কতিপয় ব্যক্তি মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল বহন করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিনগত রাত পৌনে ১২ টার দিকে জেলার শাজাহানপুর থানাধীন বেতগাড়ী পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা দুইটি মাইক্রোতে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত ১৯৩ বোতল ফেন্সিডিল, ৮টি মোবাইল ও ৮টি সীমসহ ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা অত্যন্ত চতুর হওয়ায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে ছিল। আসামীগণ মাদক পরিবহনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে মাদকদ্রব্য গন্তব্যস্থলে নিরাপদ ভাবে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে মাদক বহনকারী গাড়ীর সামনে এস্কট হিসেবে আরো একটি গাড়ি ব্যবহার করে। এস্কর্ট হিসেবে ব্যবহৃত সামনের গাড়িটি রাস্তায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন টহল/চেকপোষ্ট আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে পিছনের মালবহনকারী গাড়িকে সতর্ক করতো। সামনের এস্কর্টের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা নিরাপদ রুট নির্বাচন করে মাদক পরিবহন করতো। গ্রেফতারকৃত জামিরুল ইসলাম এর নামে একটি মাদক মামলা ও মহুবুবুর রহমান এর নামে একটি মারামারি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে মর্মে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীগণের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শাজাহানপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
মেসেঞ্জার/আলমগির/আজিজ