
ছবি: সংগৃহীত
ইসলামের পরিভাষায় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, যৌন সম্ভোগ ও শরিয়ত নির্ধারিত বিধি-নিষেধ থেকে নিয়তসহকারে বিরত থাকাকে সাওম বা রোজা বলা হয়। রোজা থাকা অবস্থায় রোজাদারকে সংযম করতে হয় এবং কিছু কাজ থেকে বিরত থাকতে হয়। নিচে রোজা ভঙ্গের কারণগুলো উল্লেখ করা হলো।
রোজা ভঙ্গের প্রধান তিন কারণ হলো :
১. কোনো কিছু খাওয়া।
২. কোনো কিছু পান করা।
৩. স্ত্রী সহবাস করা।
তবে এই তিনটির সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু সূক্ষ্ম কারণেও রোজা ভেঙে যায়, যা সাধারণত আমরা খেয়াল করি না। যেমন:
৪. ভুলে খাওয়া বা পান করার পর রোজা ভেঙে গেছে মনে করে আবার ইচ্ছাকৃতভাবে খাওয়া বা পান করা।
৫. বিড়ি-সিগারেট বা হুঁকা সেবন করা।
৬. কাঁচা চাল, আটার খামির বা একত্রে অনেক লবণ খাওয়া।
৭. এমন কোনো বস্তু খাওয়া, যা সাধারণত খাওয়া হয় না। যেমন কাঠ, লোহা, কাগজ, পাথর, মাটি, কয়লা ইত্যাদি।
৮. পাথর, কাদামাটি, কংকর, তুলা-সুতা, তৃণলতা, খড়কুটো ও কাগজ গিলে ফেলা।
৯. নিজের থুতু হাতে নিয়ে গিলে ফেলা।
১০. ভুলে স্ত্রী সম্ভোগের পর রোজা ভেঙে গেছে মনে করে আবার স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করা।
১১. বৃষ্টি বা বরফের টুকরো খাদ্যনালির ভেতরে চলে গেলে রোজা ভেঙে যায়।
১২. দাঁত দিয়ে রক্ত বের হলে যদি তা থুতুর চেয়ে পরিমাণে বেশি হয় এবং কণ্ঠনালিতে চলে যায়।
১৩. মুখে পান দিয়ে ঘুমিয়ে যাওয়া এবং এ অবস্থায় সুবহে সাদিক করা।
১৪. কাউকে জোরজবরদস্তি করে পানাহার করানো।
১৫. ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা বা বমি আসার পর তা গিলে ফেলা।
মেসেঞ্জার/ফারদিন