ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

শনিবার থেকে চালু হচ্ছে মেট্রোরেল

মেসেঞ্জার অনলাইন

প্রকাশিত: ২১:৪৮, ১১ আগস্ট ২০২৪

শনিবার থেকে চালু হচ্ছে মেট্রোরেল

ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তুমুল সহিংসতায় বন্ধ হয়ে যাওয়া মেট্রোরেল আগামী শনিবার (১৭ আগস্ট) থেকে পুনরায় চলাচল হচ্ছে। রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সচিবদের বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত এসেছে বলে জানিয়েছেন সড়ক, মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।

তিনি বলেন, ‘আমরা মেট্রোরেল চলাচলের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার মতামত জানতে চেয়েছিলাম। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেট্রোরেল চলাচলের বিষয়ে আমাদের নির্দেশনা দেন। সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী শনিবার মেট্রোরেল চলাচল শুরু করবে।’ 

(১৮ জুলাই) মিরপুর–১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করা হলে ওই দিন বিকেল ৫টায় মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। এরপর মেট্রোরেল পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) অনির্দিষ্টকালের জন্য মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। 

সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘সহিংসতায় মেট্রোরেলের দুটি স্টেশন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শনিবার মেট্রোরেল চালু হলেও মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে থামবে না। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বাকি ১৪টি স্টেশনে যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারবেন।’ 

তিনি জানান, এখন মেট্রোরেল ব্যবস্থার নানা দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ডিএমটিসিএলের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, সিগন্যাল সিস্টেম বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুরো মেট্রোরেলের পথ পরীক্ষা করেছেন। সোমবার নিরাপত্তা–সংক্রান্ত বিষয়গুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হবে।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) যাত্রীবিহীন (ব্ল্যাঙ্ক) ট্রেন পরিচালনা শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে ডিএমটিসিএলের। যাত্রী ছাড়া কয়েক দিন মেট্রোরেল চালানো হবে। এরপরই যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু হবে। 

এদিকে মেট্রোরেলের নিরাপত্তার জন্য এমআরটি পুলিশের সদস্যদের উপস্থিতি নিয়েও চিন্তিত ডিএমটিসিএল।ডিএমটিসিএলের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এমআরটি পুলিশ না থাকলে মেট্রোরেল স্থাপনায় কোনো সহিংসতা হলে তা থামানো যাবে না। এখন সেনাবাহিনী নাকি বিজিবি দিয়ে আপাতত নিরাপত্তা প্রদান করা হবে, আলোচনা চলছে। 

ডিএমটিসিএলের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন ২ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন মেট্রোরেলে চলাচল করেন। মেট্রোরেল বন্ধ থাকার কারণে রাজধানীর উত্তরা, মিরপুরের যাত্রীরা সড়কে নানা ভোগান্তিতে পড়েছেন। লক্করঝক্কর বাসের পাশাপাশি সড়কে ব্যক্তিগত যান চলাচল বেড়েছে। এতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় হিমশিম খাচ্ছে তরুণেরা।

মেসেঞ্জার/তারেক

×
Nagad