ঢাকা,  শুক্রবার
১৬ মে ২০২৫

The Daily Messenger

জামালপুরে যমুনা নদীতে আবাধে চলছে শুশুক শিকার

জাহিদুর রহমান উজ্জল, জামালপুর

প্রকাশিত: ১১:১৪, ২৪ জুন ২০২৩

জামালপুরে যমুনা নদীতে আবাধে চলছে শুশুক শিকার

জামালপুরের যমুনা নদী থেকে অবাধে মহা বিপন্ন প্রাণি শুশুক শিকার করা হচ্ছে। ছবি: টিডিএম

জামালপুর জেলার যমুনা নদীতে অবাধে বিলুপ্ত প্রায় শুশুক শিকার করা হচ্ছে। কোন রকম আইনের তোয়াক্কা না করেই এক শ্রেণির মৎস্য শিকারী স্থানীয়ভাবে যাদের আরকাটি নামে পরিচিত তারা বিভিন্ন কৌশলে এইসব শুশুক শিকার করে থাকে। এই শুশুক এর মাংশ ও তেল থেকে বিভিন্ন কবিরাজি ওষুধ ও মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত হয়। অধিক দামে এ সব বিক্রি করে থাকে বলে জানা গেছে।

জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদঘাট থেকে ইসলামপুর- মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ি এলকায় এই শুশুক শিকার করে থাকে। যমুনা নদীতে নিয়মিত মাছ শিকারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যমুনা নদীতে কয়েক বছর আগেও শত শত শুশুক দেখা যেত। খরস্রোতা নদীতে শুশুকরা “ডুব সাতার” খেলতো। কিন্তু ইদানিং এদের সংখ্যা কমে গেছে। তবুও মাঝে মাঝে যমুনার গভীর জলে কয়েকটি শুশুক দেখা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মৎস্যজীবি জানান, মাদারগঞ্জ এলকার এক শ্রেণির  মাছ শিকারী যারা স্থানীয়ভাবে ‘আরকাটি’ নামে পরিচিত তারা বড় বড় পাগলা বড়শি ও বিশেষ জালে শুশুক শিকার করে থাকে। এবং এই শুশুক থেকে বিশেষ কায়দায় তেল তৈরী করে, এই তেল দিয়ে বাঁচা ও ঘাড়িয়া মাছসহ নানান মাছ শিকার করে থাকে এবং মাংশ দিয়ে নানান কবিরাজি ওষুধ তৈরী হয়। তাদের হাতে প্রতিবছর শত শত অনেক শুশুক নিধন হচ্ছে।

শুশুক সম্পর্কে জানা যায়, একটি স্তন্যপায়ী জলজ প্রাণি। বাংলাদেশে এটা বিপন্ন  হিসাবে পরিচিত। দেশের বিভিন্ন নদীতে দুই ধরনের শুশুক পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে জামালপুরের পরিবেশ কর্মী ও সাংবাদিক জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, শুশুক দেশের জলজ প্রানির অন্যতম। এটা বিপন্ন প্রাণির তালিকায় এক নাম্বারে। তাই পবিবেশ এবং জলবায়ুর ভারসম্য রক্ষায় এটাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। কোন ক্রমেই এটা শিকার বা হত্যা কার যাবে না। এটা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ। যারা এই কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচললিত আইনে মামলা হতে পারে। যমুনা নদীতে গত দশকে যে পরিমান শুশুক দেখা মিলতো এখন তা প্রায় বিপন্ন। একশ্রেণির লোভি মৎস্য শিকারীদের হাতে প্রতিবছর অনেক শুশুক শিকার ও হত্যা হয়। তাই প্রশাসন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি দাবী করছেন।

টিডিএম/এফএমটি