ঢাকা,  শনিবার
২৭ জুলাই ২০২৪

The Daily Messenger

জামিনে থাকা আসামীকে নির্যাতন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাময়িক বরখাস্ত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:২০, ৩ জুলাই ২০২৩

জামিনে থাকা আসামীকে নির্যাতন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাময়িক বরখাস্ত

ছবি : সংগৃহীত

উচ্চ আদালতের জামিন থাকা সত্বেও আসামীকে ধরে এনে নির্যাতন টাকা দাবী করার সত্যতা পাওয়ায় শরীয়তপুরের নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (৩ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এর আগে একই ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিলো পদ্মা সেতু দক্ষিন থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ওসি তদন্ত সুরুজ উদ্দিন আহমেদকে। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয় শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনিরের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। সরকারী চাকুরি আইন ১০২৮ এর ৩৯(১০ এবং সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ১২(১০ অনুযায়ী অভিযুক্ত রাসেল মনিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা সমীচিন বিবেচিত। জনস্বার্থে আদেশ দ্রত কার্যকর করা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২৯ মে উচ্চ আদালতে জামিনে থাকা আসামীদের আটক করে নির্যাতন তাদের স্বজনদের কাছ থেকে ৭২ লাখ টাকা দাবীর অভিযোগ ওঠে নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির পদ্মা সেতু দক্ষিন থানার ওসি মেস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। আদালতে হাজির করা হলে তাদের উপর নির্যাতনের বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন তাদের আইনজীবি। ওই দিন শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তাদের মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। আটককৃত চার জনের মেডিকেল প্রতিবেদনে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়াও নিজেদের উপর নির্যাতন ৭২ লাখ টাকার চেক হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর নজরে আসে কর্তৃপক্ষের। পুলিশের করা তদন্ত কমিটির তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

টিডিএম/এএম