
ছবি : টিডিএম
‘দেশি ফলে বেশি বল, ফল খেয়ে কথা বল’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফল উৎসব।
সোমবার (১৭ জুলাই) পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ক্যাম্পাসের আয়োজনে এই ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
উৎসবের শুরুতে ঢাক, ঢোলসহ দেশি বাদ্যযন্ত্রের ছন্দের তালে, শোভাযাত্রা করা হয়। শিক্ষার্থীরা শোভাযাত্রায় নেচে গেয়ে অংশ নেন। এরপর নজরুল ভাস্কর্যে গিয়ে শোভাযাত্রা শেষ হলে সেখানে গ্রীষ্মকালীন ফল পরিবেশন করা হয়। ফল উৎসবে আম, কাঁঠাল, লটকন, আমলকি, পেয়ারা, আনারস, করমচাসহ বেশকিছু প্রজাতির দেশীয় ফল স্থান পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০০ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফল দিয়ে আপ্যায়ন করে গ্রিন ক্যাম্পাসের সদস্যরা।
বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ্য মাসুম হাওলাদারের সঞ্চালনায় উৎসবের সভাপতিত্ব করেন গ্রিন ক্যাম্পাসের উপদেষ্টা চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন (দ্রাবির সৈকত)। উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রিয়াদ হাসান, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার ও রেজিস্ট্রার (অ.দা.) প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান।
উদ্বোধনকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসটাকে সুন্দর মতো সাজাতে চাই। পরিকল্পনামতো সাজাতে চাই। সেলক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। ক্যাম্পাসে সুপরিকল্পিত বৃক্ষরোপণ করা হবে। আগামী সপ্তাহে এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসবে।
ক্যাম্পাসে অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র গাছ না লাগানোর পরামর্শ দিয়ে উপাচার্য আরও বলেন, বৃক্ষরোপণ করলেই হবে না। সবকিছুর পেছনে পরিকল্পনা থাকা দরকার। আমরা যে ফলদ, বনজ গাছগুলো লাগাচ্ছি সে গাছগুলোকে রক্ষা করার চ্যালেঞ্জটা সকলকে নিতে হবে। আমি আশা করব ছাত্র-ছাত্রীরা গাছগুলোকে পানি দেওয়া পরিচর্যা করাসহ সকল কাজে স্বেচ্ছাসেবীর ভূমিকা নেবেন। বক্তব্যে ফল উৎসবের আয়োজন করায় গ্রিন ক্যাম্পাসকে ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।
ফল উৎসব নিয়ে গ্রিন ক্যাম্পাসের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশীয় মোসুমী ফলের প্রতি শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে গ্রিন ক্যাম্পাস প্রতি বছর এ আয়োজন করে আসছে। আমরা শিক্ষার্থীদের বিদেশি ফরমালিনযুক্ত ফল পরিহার করে মৌসুমভিত্তিক যে ফলগুলো পাওয়া যায় সেগুলো গ্রহণ করার কথা বলি।
দিনে যেন অন্তত একটি ফল খাওয়া হয় সে বিষয়েও আমরা তাদেরকে সচেতন করি। পাশাপাশি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে আমরা দেশীর ফলের গুণাগুণ তুলে ধরি।
চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন (দ্রাবির সৈকত) বলেন, দেশীয় ফল খেলে আমরা সুস্থ থাকতে পারবো। আমার মনেই পড়ে না আমি কবে ঔষধ খেয়েছি। আমরা সুস্থ থাকলে হাসপাতালের উপর চাপ কমবে। আমরা পৃথিবীকে কিছু উপহার দিতে পারবো। সবার প্রতি মৌসুমি দেশীয় ফলগুলো খাবার আহ্বান জানাচ্ছি।