
ছবি: টিডিএম
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তা নদীর তীরে ৭০০ একর জমিতে নির্মিত হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র ‘তিস্তা পাওয়ার প্ল্যান্ট’। তিস্তার এপারে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও এর পাশেই রংপুরের পীরগাছা আর ওপারে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা। এ তিন উপজেলার সীমান্তবর্তী সংযোগস্থলে প্রকল্পটির অবস্থান।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এসব সৌর প্যানেল থেকে ১২০টি ইনভার্টারের মাধ্যমে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। এজন্য ২৮টি বক্স ট্রান্সমিশনে সংযোগ স্থাপন, সাবস্টেশনসহ ১২০ কেভিএ ট্রান্সমিশন টাওয়ার নির্মাণ এবং জাতীয় গ্রিডে সংযুক্তির জন্য তিস্তা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে রংপুর পর্যন্ত তৈরি হয়েছে ৩৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার লম্বা সঞ্চালন লাইন। এ লাইনের মাধ্যমেই সুন্দরগঞ্জের কেন্দ্রটি থেকে রংপুর গ্রিড সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে।
২০১৭ সালে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার কাজটি বাস্তবায়ন করে বেক্সিমকো পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। এ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে ৮৫টি মাউন্টিং পাইলস। যার ওপরে বসানো হয়েছে প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার সৌর প্যানেল। উপর থেকে সারি সারি সাজানো সৌর প্যানেলের সৌন্দর্য দৃষ্টি কেড়ে নেবে যে কারও।
তিস্তা পাওয়ার প্ল্যান্ট সম্পর্কে বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান শায়ান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একটি রোডম্যাপ আছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও পরিবেশ রক্ষা নিয়ে। সরকার এটি নিয়ে অনেক কাজ করছে। বেক্সিমকো অনেক খাতে পাইওনিয়ার। আমরা মনে করি, এই রিনিউয়াবল এনার্জি সেক্টর ভবিষ্যত জ্বালানির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে।
অতীতে যেখানে যেতে সাহস পেতেন না অনেকেই, ফলতো না কোনো ফসল। এখন সেখানে গড়ে উঠেছে দেশের নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ খাতের সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
রংপুর সফরে এসে সম্প্রতি উত্তরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের প্রেক্ষাপটে সৌরবিদ্যুৎ হতে পারে ভরসা। জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ও পরিশোধিত তেলের ওপর চাপ বাড়ায় বিশ্বব্যাপী সংকট শুরু হয়েছে। তাই উন্নত দেশে এখন সৌরবিদ্যুতের কথা ভাবছে।
টিডিএম/এএইচ