ঢাকা,  শনিবার
২৭ জুলাই ২০২৪

The Daily Messenger

রাঙামাটিতে প্রধান শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:০০, ২৮ আগস্ট ২০২৩

রাঙামাটিতে প্রধান শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন

ছবি : টিডিএম

নিজ স্কুলের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত রাঙামাটির লংগদুর আরএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল রহিমকে (৪৬) চাকরি থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে অবিভাবক ও বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার করল্যাছড়ি আরএস উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম(৪৬) ২০২০ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর তার স্কুলের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় রাঙামাটির আদালত ২০২২ সালে ২৯ নভেম্বর যাবতজ্জীবন দণ্ড দেয়।

ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে বিবাহ করা, এক একর জমি লিখে দেওয়ার অঙ্গীকার করে ২০২৩ সালের ২১ জুন হাইকোর্ট থেকে জামিন নেয়।জামিনের পর ২০২৩ সালের ২৩ জুন স্কুলে যোগদান করার করায় ক্ষুব্ধ হন অবিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

বক্তারা বলেন, আব্দুর রহিম আদালত কর্তৃক একজন দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষক। তার শিক্ষকতা করার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। তার কাছে আর কোন শিক্ষার্থী নিরাপদ নয় বরং সে স্কুলে যোগদান করলে স্কুলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে পাশাপাশি শিক্ষার্থী ধর্ষকের ছাত্রছাত্রী হিসেবে পরিচিতি পাবে।

এ কলঙ্ক মুছে ফেলতে আব্দুর রহিমকে শুধু এ বিদ্যালয় থেকে বহিস্কার নয় যেন কোথাও শিক্ষকতা করতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকার ও জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে দাবি জানান। তাকে স্কুল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা না হলে লাগাতার ক্লাশ বর্জনের হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থী বক্তারা।
 
দীপন বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে মানববন্ধন  বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, অবিভাবক এরিক চাকমা, বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী জিকো চাকমা।

প্রসঙ্গত করল্যাছড়ি রশিদ সরকার (আরএস) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার স্কুলে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে। এ ধর্ষণ মামলায় রাঙামাটির আদালত আব্দুর রহিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পরে আব্দুর রহিম ভিকটিম ছাত্রীকে বিবাহ করেছেন ও জমি লিখে দেওয়ার অঙ্গীকার দিয়ে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। জামিন পাবার পর পরই আবদুর রহিম স্কুলে দায়িত্ব গ্রহণ করলে ফুসে উঠে স্থানীয় অবিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।

টিডিএম/আরস