ঢাকা,  রোববার
১৩ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

পিরোজপুরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুত ৪৭৭ টি পুজো মন্ডপ

পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৪৩, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

পিরোজপুরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুত ৪৭৭ টি পুজো মন্ডপ

ছবি : মেসেঞ্জার

পিরোজপুরে এবার ৪৭৭ টি পুজো মন্ডপে দূর্গাপূজা হবে। জেলাজুড়ে তাই নানা আয়োজনে দেবী বন্দনার প্রস্তুতি চলছে। শৈল্পিক কারুকার্যে অনিন্দ্য সুন্দর প্রতিমার গায়ে এখন চলছে রঙের আঁচড়।

শহরের পালপাড়া, রাজারহাট, আখড়া বাড়ি, কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি সহ বেশ কয়েকটি প্রতিমালয়ে গিয়ে দেখা যায় মৃৎশিল্পীদের এখন দম ফেলার ফুসরত নেই।

এরই মধ্যে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে শুরু হয়েছে গেট, প্যান্ডেল এবং সাজসজ্জার কাজ। জেলা জুড়ে এবার ৪৭৭ টি সার্বজনীন পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা।

এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৮টি, নাজিরপুরে- ১৩৪টি, নেছারাবাদে- ১০১টি, ভান্ডারিয়ায়-৫৮টি, কাউখালীতে ২৭টি, ইন্দুরকানীতে- ২৩টি এবং মঠবাড়িয়া উপজেলায়- ৭৬টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) মহালয়ার পরেই আয়োজকরা মণ্ডপে প্রতিমা নেওয়া শুরু করবেন। ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।

অন্যবছরের তুলনায় বছর বছর প্রতিমা তৈরীতে খরচ অনেক বেশী পড়ছে। প্রতিটা জিনিষের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই খরচ বেড়েছে বিশেষ করে রংয়ের দাম অনেক চড়া। তার পরে আছে মাটির সংকট। আগে যারা মাটি সরবরাহ করতো, এখন তারা আর তা করছেন না। এছাড়া লোকবল সংকটতো আছেই।

এছাড়া পাল সম্প্রদায় যারা প্রতিমা তৈরী করতো তাদের সংখ্যাও কমে গেছে। আগে যেখানে /৭টি পরিবারের সবাই মিলে সময় প্রতিমা তৈরী করত, এখন সেখানে সে মাত্র ৩টি পরিবার। পরিবারের অনেক সদস্য চাকুরী সহ অন্য পেশায় চলে যাওয়ায় লোকবল সংকটের কারনে তাকে সহ অন্যদের দিন-রাত সমান তালে কাজ করতে হচ্ছে। প্রতিমার মূল্য আকার বেধে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ধরা হয়েছে।

শহরের পালপাড়ার মৃৎশিল্পী পরিমল পাল জানান, বছর তারা বরিশাল শহরে ৩টি সহ প্রায় ৪২টি প্রতিমার অর্ডার পেয়েছেন। এর মধ্যে শহরের বিভিন্ন স্থায়ী মন্দিরে ৪টি বাকি ৩৫টি বিভিন্ন উপজেলার পূজা মণ্ডপের জন্য তৈরি হচ্ছে। সবগুলোর কাজ শেষের পথে, এখন রঙের কাজ শুরু হয়েছে। এরপর শুরু হবে প্রতিমা সাজানো এবং অলংকার স্থাপনের কাজ।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু সুখরঞ্জন বেপারী জানান, জেলায় সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক সহ পুলিশ প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। এবার দুর্গাপূজায় বাড়তি নিরাপত্তার উপর জোড় দেয়া হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিটি পূজা মন্ডপে পুলিশ, আনসার সহ আলাদা স্বেচ্ছাসেবক টিমের পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দিকে জেলা পুলিশের তথ্য মতে জেলার সদর উপজেলা সহ বিভিন্ন উপজেলার দুর্গম এলাকার অনেক গুলো মন্ডপই কম-বেশি ঝুকিপূর্ণ এর মধ্যে সদর উপজেলার ৩৫টি, নাজিরপুরে- ৩৩টি, নেছারাবাদে- ১৭টি, ভান্ডারিয়ায়-৩টি, কাউখালীর- ৩টি, ইন্দুরকানীর- ৭টি এবং মঠবাড়িয়া উপজেলায়- ২৬টি পূজা মন্ডপ কম-বেশি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় অছে বলে মনে করেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তবে সকল মন্দিরের নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে এবং ্যাব,পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থ্যা,আনসার সহ সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাথা হয়েছে বলে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

মেসেঞ্জার/শুভরয়/আপেল