
ছবি : মেসেঞ্জার
মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করার জেরে রংপুর মহানগরীর চাঞ্ছল্যকর সাংস্বৃতিক কর্মী নাট্য শিল্পি রোমান সরকার হত্যাকান্ডে ৮ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর স্পেশাল ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ হায়দার আলী এই আদেশ দেন।
আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর জয়নাল আবেদীন অরেঞ্জ জানান, মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়ায় বিরোধের জেরে ২০০৯ সালের ২২ জুলাই ভাগ্নির বিয়ে বাজার করে ফেরার সময় রংপুর মহানগরীর পশ্চিম জুম্মাপাড়ার গগন ফকিরের বাড়ির সামনে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে সাংস্কৃতিক কর্মী রোমান সরকারকে কুপিয়ে হত্যা করে দুবৃত্তরা।
এ ঘটনায় রোমানের পিতা রোস্তম আলী সরকার কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দেয়। মামলাটি ১৭ বছর ধরে চলার পর ১০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য শেষে সোমবার বিচারক রায় প্রদান করেন।
রায়ে পশ্চিম জুম্মাপাড়ার সৃত জয়নালের পুত্র আনিছ, আশরাফুল, আতারুল, আমিনুল, বুদ্ধা, আল আমিন, খোকন, মারুয়া পট্রির খয়ের মুন্সির পুত্র মোজাম্মেল, একই এলাকার মৃত কাওসার মিয়ার পুত্র নুরুন্নবীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদন্ডাদেশ দেন বিচারক। রায়ের সময় ৭ জন কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। ৮ নম্বর আসামী নুরু্ন্নবী পলাতক আছেন।
নিহতের বোন জাতীয় মহিলা পরিষদেররিক্তা আক্তার জানান, ওরা আমার ছোট ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যাকারীরা রংপুর শহরের চিহ্নিত কুখ্যাত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ি ও সব ধরণের অপরাধের সাথে জড়িত। আমি চাই এই রায় যেন বহাল থাকে এবং তারা যেন কোনভাবেই জামিন না পায়।
রংপুর জজ আদালতের পিপি আব্দুল মালেক জানান, যাকে হত্যা করা হয়েছে সেই রোমান একজন সাংস্কৃতিক কর্মী ও নাট্যাভিনেতা ছিলেন। ওদের পুরো পরিবার রংপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সুপরিচিত। প্রতিবাদি রোমানকে যারা হত্যা করেছে তারা মাদক ব্যবসায়ি ও সন্ত্রাসী। যে রায় দিয়েছেন আদালত তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা চাই তারা যেন কোনভাবেই আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে না আসে।
মেসেঞ্জার/শাহীন/আপেল