ঢাকা,  শনিবার
২৭ জুলাই ২০২৪

The Daily Messenger

বগুড়ায় আমনের লোকসান কমাতে আলু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

আলমগীর হোসেন, বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশিত: ১৭:৪৪, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

বগুড়ায় আমনের লোকসান কমাতে আলু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

ছবি: ডেইলি মেসেঞ্জার

বগুড়ায় এবারের আমন চাষে ধানের ফলন দাম দুটোই কম হওয়ায় বড় ধরনের লোকসানে পড়েছেন কৃষকরা। তাই আমন চাষের লোকসান কাটিয়ে নিতে জেলার জুড়ে আগাম জাতের আলু চাষের ধুম পড়েছে। বাজারে আলুর দাম চড়া, তাই মৌসুমের প্রথম দিকে আগাম জাতের আলু উৎপন্ন হলে ভালো দাম পাওয়া যাবে- এমনটাই আশা কৃষকদের।

লক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলার মাঠে আলু রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। জেলায় পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৬৩৫ হেক্টর জমিতে আলু রোপন করা হয়েছে।

উত্তরাঞ্চলের কৃষি প্রধান জেলা বগুড়া। জানা গেছে, অতীতের চেয়ে আলুর বাজার দর বেশি হওয়ায় এবার বগুড়ায় ব্যাপক হারে আলু রোপন করতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে জেলার কৃষকরা। জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার রিধইল, কাথম, দোহার, তেঘরি, পৌতা, ভাটগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় বিনা- ৪৯ নামে আগাম জাতের আমন ধান লাগানো হয়েছিল। ইতোমধ্যে এসব আগাম জাতের আমন ধান ঘরে তুলছেন কৃষকরা। এখন সেসব জমিতে চলছে আগাম আলু লাগানোর কাজ। জন্য জমি তৈরিসহ সার প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

ডায়মন্ড, পাকরি, কাজললতা কার্ডিলালসহ দেশি উন্নত জাতের আলু লাগানো হচ্ছে। ডায়মন্ড জাতের আলু ৭০-৭৫ দিনের মধ্যে তুলে বাজারজাত করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা কৃষকরা।

নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবার নন্দীগ্রাম উপজেলায় চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে হাজার হেক্টর জমিতে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলুর চাষ হবে।

এরই মধ্যে শুরু হয়েছে আগাম জাতের আলুবীজ বপন। চলতি মৌসুমে উচ্চ ফলন প্রাপ্তির লক্ষ্যে কৃষকদের মধ্যে আলু সবজি চাষের ওপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ উন্নতমানের বীজ সংগ্রহ, সুষম মাত্রার রাসায়নিক জৈব সার প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ। ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের পৌতা গ্রামের কৃষক সাজু বলেন, উপজেলার মাটি আলু চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় অধিকাংশ কৃষক অন্যান্য ফসলের চেয়ে আলু চাষে বেশি আগ্রহী।

তিনি বলেন, গতবার ধান কাটার পরেই আগাম আলু চাষ করে অর্ধেক লাভ হইছে। সেই জন্য এইবার ২০ বিঘা জমিতে আগাম ডায়মন্ড জাতের আলু লাগাইছি।

নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন, এখন যে জমিতে কৃষকরা আলু লাগাচ্ছেন, তা ৭০-৭৫ দিনের মধ্যে তুলে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। মৌসুমের শুরুতে নতুন আলুর চাহিদা থাকায় এমনিতেই বাজারে দাম চড়া থাকে। তাই কৃষকরা আগাম আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক সোহেল মো. ছামছউদ্দিন ফিরোজ জানান, আলুর দাম ভালো ফলন পেতে অনেক আগে থেকেই জেলার কৃষকগণ আলু রোপন করে আসছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় ৪৮ হাজার ৬৩৫ হেক্টর জমিতে আলু রোপন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ৫৫ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আলু রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে মৌসুমে আলু রোপনের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে।

মেসেঞ্জার/আলমগীর/আল আমিন