ঢাকা,  শুক্রবার
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

মাদারীপুর-১ আসন

চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীতেই আস্থা শিবচরবাসীর

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৫২, ৬ জানুয়ারি ২০২৪

চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীতেই আস্থা শিবচরবাসীর

ছবি : মেসেঞ্জার

মাদারীপুর আসনের শিবচর অনেক আগে থেকেই আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আর এই আসনে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর--আলম লিটন চৌধুরী বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাচিত হয়ে আসছেন। শিবচরের উন্নয়নের জন্য তার ভূমিকা অপরিসীম বলে মনে করেন শিবচরবাসী। ভোটাররা জানান,'শিবচরের উন্নয়নই জনপ্রিয়তার শীর্ষে রেখেছে লিটন চৌধুরীকে।'

উল্লেখ্য এই আসনে জাতীয় পার্টির(লাঙ্গল) প্রার্থী থাকলেও কোন প্রচার-প্রচারণায় দেখা যায়নি তাকে। সাধারণ ভোটাররা তাকে চেনেন না বলেও জানান।

ভৌগোলিক দিক দিয়ে পদ্মাসেতু, এক্সপ্রেসওয়ে এবং পদ্মারেলকে ঘিরে শিবচর দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। আর এই উপজেলায় গত ১৫ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে বলে জানান সাধারণ বাসিন্দারা। উপজেলা শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গত ১৫ বছর ধরেই উন্নত।

নদ-নদীর উপর সেতু নির্মান, নদীভাঙন রোধ, পাকা রাস্তা, ইউনিয়ন পর্যায়ে মা শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহুতল ভবনসহ পদ্মা সেতু নির্মানের সাথে সাথে শিবচরে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের নানা কাজে শিবচরকে একটি আধুনিক উপজেলায় রূপ দিয়েছেন বলে জানান সাধারণ ভোটাররা। আর এই  উন্নয়নের রূপকার হিসেবে এই আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর--আলম চৌধুরীর নাম উপজেলাবাসী এক বাক্যে উচ্চারণ করেন। আর তাই আসনের ভোটাররা বলছেন,'শিবচরে এমপি মানেই নূর--আলম চৌধুরী। তার বিকল্প নাই!'

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে নেতা-কর্মীদের। চিফ হুইপ নূর--আলম চৌধুরী উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে ধারাবাহিক পথসভা, জনসভা করছেন। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ভোটার বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। নৌকার জন্য ভোট চাচ্ছেন।

উপজেলার সাধারণ ভোটারদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান,'শিবচরের ৯০ ভাগ মানুষ আওয়ামীলীগের সমর্থক। তাছাড়া উন্নয়ন বিবেচনা করলে আওয়ামীলীগের বাইরে কিছু নেই! নূর--আলম লিটন চৌধুরী উপজেলার প্রতি ইঞ্চি জায়গাতেও উন্নয়ন করেছেন। উপজেলায় কোন কাঁচা রাস্তা নেই। প্রত্যন্ত গ্রামেও ঘর থেকে বের হলেই রাস্তা। বর্ষায় কাঁদা মাড়াতে হয় না। সেতু, কালভার্ট করে উপজেলা সদরের সাথে প্রত্যন্ত গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করে দিয়েছেন।

উপজেলার প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে বহুতল ভবন। এছাড়া পদ্মাসেতুর কারণে অসংখ্য উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান শিবচরে করেছেন। কাজও চলমান রয়েছে। ফলে শিবচরের মানুষ লিটন চৌধুরীর বাইরে কারো কথা কখনও ভাবেনি। এই আসনে অন্তত কখনো ভাববে বলে মনে হয়না।'

শিবচর উপজেলা আওয়ামীলীগ সূত্রে জানিয়েছে,১৯৯১ সালে মাদারীপুর আসনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদা ভাই) আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে তারই জৈষ্ঠ্য পুত্র নূর-- আলম চৌধুরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে টানা ৬ষ্ঠ বারের মতো তিনিই মাদারীপুর আসনের সংসদ সদস্য। বর্তমানে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ তিনি। শিবচর আওয়ামীলীগের রাজনীতি তাকে ঘিরেই। উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পদ-পদবী নিয়ে কোন মতবিরোধ বা সংঘাত নেই। ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে দলের জন্য সকলে একত্রিত হয়ে কাজ করছেন।

ভোটার দত্তপাড়া এলাকার মো.জাহিদুল ইসলাম বলেন,'চিফ হুইপ শিবচরকে আধুনিক উপজেলায় রূপ দিয়েছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সকল দিকেই শিবচর অন্যান্য উপজেলা থেকে আলাদা। আর এখানে ভোট মানেই লিটন চৌধুরী!'

মো.সোবাহান মুন্সী নামের আরেক ভোটার বলেন,'শিবচর আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকা। এই আসনে দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের এমপি। মূলত, শিবচরকে আধুনিক ভাবে সাজিয়েছেন লিটন চৌধুরী। কারণে ভোটাররা তাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভাবে না এখানে।'

উল্লেখ্য, ১৯ টি ইউনিয়ন টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই আসনে মোট ভোটার রয়েছেন লক্ষ হাজার ৯৫ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার লক্ষ ৫৭ হাজার ৩শত ৭৯ এবং নারী ভোটার লক্ষ ৪৩ হাজার ৭শত ১৩ জন।

এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে জন। মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১০২ টি। আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর--আলম চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) মো.মোতাহার হোসেন সিদ্দিক, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মো. তোফাজ্জেল হোসেন খান। তবে নৌকা ছাড়া অন্যদের প্রচারণা চোখে পড়েনি!

মেসেঞ্জার/ইমতিয়াজ/আপেল