
ছবি : সংগৃহীত
দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলার সংযোগস্থল মানিকগঞ্জের পদ্মা নদীর পাটুরিয়ায় ফেরি ডুবির চতুর্থ দিন পার হলেও ফেরিটি উদ্ধার করতে পারেনি উদ্ধারকারী জাহাজ গুলো। পানির নীচে ডুবে থাকা ফেরির সাথে তিনটি এফএস ওয়ার (তার) বাধতেই সারা দিন পার করলো প্রত্যয়।
তবে নিখোঁজ হুমায়ন কবিরের এখনও কোন সন্ধান পায়নি কতৃপক্ষ। এখনো ৬ টি ট্রাক পানির নীচে রয়েছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শক্তিশালী উদ্ধারকারি জাহাজ প্রত্যয় দিয়ে চলছে উদ্ধার কাজ। পানির নীচে থাকা ফেরির সাথে তিনটি এফএস ওয়ার (এফএস তার) বাঁধতেই সারা দিন লেগেছে।
ডিজিএম শাহ মুহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, মুল উদ্ধার কাজটি রোববার সকাল থেকে শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন, উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ও হামজা মিলে ডুবে যাওয়া ৯টি মালবাহী ট্রাকের মধ্যে ৩টি ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে। রজনীগন্ধা ফেরিটি ডুবে গেছে সেটি উদ্ধারে সক্ষমতা নেই হামজা ও রুস্তমের। কারণ হিসেবে ডুবন্ত ফেরিটির ওজন ২৪০ টনের বেশি।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালনা বিভাগের পরিচালক মো. শাহ জাহান জানান, উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তমের সক্ষমতা প্রতিটির ৫০টন করে। নারায়নগঞ্জ থেকে আসা প্রত্যয়ের সক্ষমতা ২৪০ টন। সেক্ষেত্রে তিন জাহাজ একত্রে চেষ্টা করলে ডুবে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধার করা সম্ভব।
ডুবন্ত রজনীগন্ধা ফেরিটির যে পরিমাণ ওজন তা উদ্ধার করা উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তমের সক্ষমতায় নেই। তবে তারা ঘটনাস্থলে ডুবে যাওয়া ট্রাক উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে।
মেসেঞ্জার/সামি/আপেল