ঢাকা,  শনিবার
২৭ জুলাই ২০২৪

The Daily Messenger

মাগুরা হাসপাতালে লাশ কাটা ঘর থেকে নিহতের গহনা চুরি!

মাগুরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৩৯, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪

মাগুরা হাসপাতালে লাশ কাটা ঘর থেকে নিহতের গহনা চুরি!

ছবি : মেসেঞ্জার

মাগুরায় ২৫০ শয্যা হাসপাতালের অস্থায়ী লাশঘরে ময়নাতদন্তের জন্যে রাখা বৃষ্টি খাতুন (১৯) নামে এক নববধূর গলা থেকে গহনা চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ নিয়ন্ত্রিত মরদেহঘর থেকে গহনা চুরির বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হলেও সারাদিনেও পুলিশ গহনাটি উদ্ধার করতে পারেনি।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১০ মাস আগে মাগুরা সদর উপজেলার চাপড়া গ্রামের আতিয়ার মোল্যার ছেলে সাদাত রহমান সর্বর সাথে শ্রীপুর উপজেলার সোনাতুন্দি গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের মেয়ে বৃষ্টির সাথে বিয়ে হয়। বৃষ্টি দ্বারিয়াপুর ডিগ্রি কলেজে লেখাপড়ার পাশাপাশি শ্বশুরবাড়িতে স্বামী-সংসার করছিলো।

কিন্তু মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শ্বশুরবাড়ির একটি ঘরে গলায় ওড়না পেচিয়ে বৃষ্টি আত্মহত্যা করেছে বলে তার বাবার বাড়িতে খবর দেয়া হয়। ঘটনার পর বৃষ্টির বাবার বাড়ির লোকজন হাসপাতালে গেলে তখন নাক, কান এবং গলায় স্বর্ণের গহনা দেখতে পায়।

নিহত বৃষ্টির বাবা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, রাতেই পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মরদেহ হাসপাতালের অস্থায়ী লাশঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। সে সময় নাক-কান-গলায় গহনা ছিল। আমাদের কাছে থাকা ছবিতেও সেটি দেখা যাচ্ছে।

কিন্তু বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্যে বের করার সময় গলায় থাকা স্বর্ণের গহনা দেখতে না পেয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি। তারা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গহনা উদ্ধারের চেষ্টা করবে বললেও তারা আমাদের আর কিছুই জানায়নি।

মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার বিকাশ কুমার শিকদার বলেন, হাসপাতালে কোনো রোগীর মৃত্যু হলে তাৎক্ষণিকভাবে যেখানে রাখা হয় সেই ঘরটির তালা চাবি নিয়ন্ত্রণ করে হাসপাতালের পুলিশ ব্যারাকের সদস্যরা। বিধায় সেখানে কিছু ঘটলে আমাদের জানার কথা নয়।

বিষয়ে জানতে হাসপাতালের পুলিশ ব্যারাকের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা কিছু বলতে রাজি হননি। তবে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে গহনা চুরির বিষয়টি জানানো হলেও বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

রাতে হাসপাতালে লাশের আশে পাশে নিহতের পরিবারের অনেক সদস্যের ভিড় ছিল। কিন্তু কখন কীভাবে স্বর্ণের গহনাটি খোয়া গেছে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

মেসেঞ্জার/বাসার/আপেল