
ছবি : মেসেঞ্জার
কুমিল্লায় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ককটেল বোমাসহ কিশোর গ্যাংয়ের ১৬ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা হয়েছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে ক্রিকেট খেলা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে ছেনি ও ছুরিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নগরীর ঈদগা মোড় থেকে পাশের রাস্তায় সমবেত হয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত কোতোয়ালি থানা ও ডিবি পুলিশ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার ১৬ জনের মধ্যে রতন গ্রুপের ৫ সদস্য হচ্ছে- শাওন হোসেন, সাইমন আহমেদ, মো. শাওন, বাদল হোসেন ও প্রমিজ সরকার শান্ত এবং ঈগল গ্রুপের ১১ সদস্য হচ্ছে- মেহেদী হাসান, মো. সাকিব, ফাহিম হোসেন, আরিফ হোসেন, মো. সামবীর, আকিব হোসেন, ফরহাদুজ্জামান পিয়াস, আশরাফুল ইসলাম নিলয়, কাইয়ুম হোসেন, আতিকুর রহমান ও বর্ষণ রায় জয়।
তারা কুমিল্লা নগরী দৌলতপুর, সংরাইশ, মোগলটুলী, মুরাদপুর, সুজানগর, কাঁটাবিল ও আশেপাশের এলাকার বাসিন্দা। তাদের নিকট থেকে বিভিন্ন রকমের ধারালো ছেনি ও ছুরিসহ ১০টি দেশীয় অস্ত্র ও ৯টি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় পৃথক ৪ টি মামলা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান আরো জানান, কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ দমনে সচেতন মহলের পাশাপাশি অভিভাবক ও পরিবারের সদস্যদের এগিয়ে আসতে হবে এবং পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং কালচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেয়া হবে না। তথ্য-প্রমানের ভিত্তিতে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, নাজমুল হাসান, ওসি কোতয়ালি ফিরোজ হোসেন, জেলা ডিবির ওসি রাজেস বড়ুয়া, কান্দিরপাড় ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক দীনেশ চন্দ্র দাস গুপ্তসহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাগণ।
মেসেঞ্জার/আবুলখায়ের/আপেল