ছবি : মেসেঞ্জার
রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা গেছেন গঙ্গাচড়া উপজেলার বিএনপি নেতা মনোয়ারুল ইসলাম (৪৫)। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭ টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, রংপুরের কেন্দ্রীয় কারাগারে মনোয়ারুল ইসলাম (৩৫) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে স্ত্রীর দায়ের করা নারী শিশু নির্যাতন মামলা রয়েছে।
মনোয়ার গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষিাটারী ইউনিয়নের পশ্চিম ইচলি গ্রামের ফজলে রহমানের পুত্র। কেন্দ্রীয় কারাগারে বুকের ব্যথা অনুভব করলে তাকে বৃহস্পতিবার ভোরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ টার দিকে মনোয়ারুল ইসলাম মারা যান।
তিনি আরও জানান, মনোয়ারুলের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে চিকিৎসকের রিপোর্ট আমরা এখনও পাইনি। হাজতির মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তবে নিহতের ভাই হারুন অর রশিদ জানান, আমার ভাই সম্পৃর্ণ সুস্থ ছিল। গত ১২ জানুয়ারী তাকে পুলিশ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে ১৩ জানুয়ারী চালান দেয়। কারাগারে গিয় জানতে পারি আমার ভাই অসুস্থ। একটা হাত ও একটা পা নড়াতে পারছিল না। তাকে কারাগারের হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে খবর পাই মারা গেছে।
হারুনের অভিযোগ, তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে গার ওপর নির্যাতন করেছে। সেকারণেই তারা হাত পায়ে সমস্যা হয়েছিল। নির্যাতনের কারণে আমার ভাই মারা গেছে। এর বিচার চাই আমি।
এদিকে রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম জানান, মনোয়ারুল ইসলাম লক্ষিটারী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তার নামে ২০২২ সালের একটি মিথ্যা নাশকতা মামলা দেয়া হয়েছিল। ওই মামলায় তার জামিন ছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, গত মাসে বাড়ি থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তার ও্পর নির্যাতন করা হয়। সেকারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া থানার ওসি তদন্ত শফিকুল ইসলাম জানান, ওই আসামী স্ত্রীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামী ছিলেন। তার ওপর কোন নির্যাতন করেনি পুলিশ।
বুকে ব্যাথা অনুভব হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, হাসপাতালেই মারা গেছেন তিনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর পুরো বিষয়টি জানা যাবে।
মেসেঞ্জার/মাজহারুল/আপেল