
ছবি : সংগৃহীত
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উপর্যুপরি ছুরির কোপে ক্ষতবিক্ষত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাংস ব্যবসায়ীর মৃত্যু শঙ্কা কাটেনি। টানা পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও রেজাউল করিম নামে ওই মাংস ব্যবসায়ী এখনো মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছেন।
মাংস ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের স্ত্রী রাজভানু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আগের থেকে কিছুটা উন্নতি হলেও ডাক্তারের ভাষ্যমতে তিনি এখনো শঙ্কা মুক্ত নন।
এদিকে মৃত্যু শঙ্কায় থাকা রেজাউল করিমের স্ত্রী রাজভানু বেগম (৪২) পূর্ব শত্রুতার জেরে তার স্বামীকে ডেকে নিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে বলে গত-১১ ফেব্রুয়ারি চিলমারী মডেল থানায় মামলা করেছেন। তবে মামলা হলেও আসামীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।
ভুক্তভোগী মাংস ব্যবসায়ী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের হাটিথানা এলাকার বাসিন্দা।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে মামলার ৪নং আসামী নিরাশা ব্যাপারী কৌশলে ব্রহ্মপুত্র নদের ধারে মাংস ব্যবসায়ী রেজাউল করিমকে ডেকে নিয়ে যায়।
এ সময় ওৎ পেতে থাকা মামলার আসামী মেরাজুল হক (৪৮), গোলাপী বেগম (৩৭), সিরাজুল হক (৩৬) সহ আরো ৩/৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে উর্পযুপরি আঘাত করেন। এ সময় ওই মাংস ব্যবসায়ি রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎকার করতে করতে বাড়ীতে দৌড়ে আসেন।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মাংস ব্যবসায়ী রেজাউল করিমকে চিলমারী হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনার সময় ওই মাংস ব্যবসায়ীর কাছে থাকা সাড়ে ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয় বলে আরো অভিযোগ আনা হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহবুবুর রশিদ বিপ্লব বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় মামলা দায়ের করলেও রেজাউলকে মারধরের সঠিক কারণটি তিনি এখনো জানেন না। তবে ঘটনাটি নিয়ে কেউ কেউ প্রেমঘটিত কারণকে উল্লেখ করেছেন।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
মেসেঞ্জার/রাফি/আপেল