ছবি: মেসেঞ্জার
মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলায় বাবুখালী আদর্শ কলেজে রাতের অন্ধকারে শহীদ মিনার ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে কলেজের পুরাতন শহীদ মিনার ও নতুন শহীদ মিনারের কিছু অংশ ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে কলেজ পরিদর্শন করেছেন বাবুখালী পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা। এ ঘটনার সাথে ওই গ্রামের আবুল মৃধা ও মিজানুর মৃধাসহ আরো কয়েকজন জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন কলেজের নৈশপ্রহরী আব্দুর রউফ।
নৈশপ্রহরী আব্দুর রউফ জানান, অন্যান্য রাতের মত সোমবার রাতে কলেজটি পাহারায় ছিলেন তিনি। রাত ১টার দিকে বাইরে শব্দ শুনতে পেয়ে তিনি বের হয়ে আসেন। এ সময় শহীদ মিনারের কাছে আবুল মৃধা ও মিজানুর মৃধাসহ সাত থেকে আটজনকে দেখতে পান তিনি। দুর্বৃত্তরা নৈশপ্রহরী আব্দুর রউফকে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। আব্দুর রউফ ভয় পেয়ে কলেজের ভিতরে চলে যায়। কিছু সময় পর বের হয়ে এসে দেখে কলেজের পুরাতন শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এছাড়া নতুন নির্মাণাধীন শহীদ মিনারের কিছু অংশ ভাঙচুর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাবুখালী আদর্শ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ সরকার বলেন, ঘটনা ঘটার পর রাতে নৈশপ্রহরী আমাকে ফোন দিয়েছিল। আমি ফোন ধরতে পারিনি। সকালে কলেজে এসে দেখি শহীদ মিনার ভাঙা অবস্থায় আছে। নৈশপ্রহরী রাতে এই গ্রামের আবুল মৃধা ও মিজানুর মৃধাসহ সাত থেকে আটজনকে দেখতে পেয়েছে বলে জানিয়েছে।
তিনি বলেন, শহীদ মিনার ভাঙা দেখে আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এ বিষয়ে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উল ইসলাম বলেন, সকালে খবর পেয়েছি ওই কলেজের পুরাতন শহীদ মিনার ও বর্তমান নির্মাণাধীন নতুন শহীদ মিনারের কিছু অংশে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে বাবুখালী পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, কলেজের জায়গায় লীজ নিয়ে দোকান ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিজানুর মৃধার ঝামেলা চলছে। সম্প্রতি দ্রুত বিচার আইনে কলেজ কর্তৃপক্ষের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন মিজানুর মৃধা। এই ঘটনায় তারা নিজেরাই ভাঙচুর করে মিজানুর মৃধাদের নামে দোষ চাপাচ্ছে কিনা অথবা এই ঘটনার সঙ্গে মিজানুর মৃধাসহ অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
মেসেঞ্জার/বাসার/শাহেদ