ছবি : সংগৃহীত
লক্ষ্মীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে একই পরিবারের সাতজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জমির মালিক ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান বাপ্পী বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আহতরা হলেন- নুরনবী, তার ভাই জাফর, কোরবান আলী, বাবা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, স্বজন নুরুল আমিন, কাদের ও মোর্শেদ।
এর মধ্যে মোর্শেদের মাথায় ধারালো অস্ত্রের কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অভিযুক্তরা হলেন- জহির, হারুন, রাজু, শরীফ, আরিফ, রিয়াজ, হৃদয় ও অজ্ঞাতনামা ছয়জন। আহত ও অভিযুক্তরা লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর শাঁখারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বাদী বাপ্পী সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে ও ইটভাটা ব্যবসায়ী।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাঞ্চানগর শাঁখারিপাড়া এলাকায় বাদী বাপ্পীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মেটাল ওয়ার্কশপ ও খালি জমি রয়েছে। সেখানে তার দখলীয় খালি জমিতে তিনি ইট-বালু রাখেন। এর মধ্যে একপাশে অভিযুক্ত জহির লাকড়ি রাখতেন। সেখানে রাখার জন্য বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাপ্পী ইট-বালু পাঠান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাপ্পীর ভগ্নিপতি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার নুরনবী লাকড়িগুলো সরিয়ে নিতে জহিরকে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জহিরসহ অভিযুক্তরা নুরনবীর ওপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করেন। এ সময় নুরনবীর স্বজনরা তাকে বাঁচাতে এলে জহিরসহ অন্য অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে নুরনবীসহ সাতজনকে জখম করেন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বাদীর অভিযোগ, হামলার সময় নুরনবীর কাছে থাকা ব্যাগ থেকে সাত লাখ টাকা, ওয়ার্কশপের ক্যাশ বক্স থেকে ৯০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। এছাড়া দোকান ভাঙচুর করে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি করা হয়েছে।
বাপ্পী বলেন, তিন বছর আগে আমি নয় শতাংশ জমি কিনে ঘটনাস্থলে দোকান নির্মাণ করেছি। আর খালি জমিতে ইট-বালু রেখেছি। আমার ভগ্নিপতি ওই জমি তদারকি করেন। একই জমি অভিযুক্ত জহির কিনতে চেয়েছেন। কিনতে না পেরে তিনি বিভিন্ন সময় আমাদের হয়রানিও করেছেন। তিনি আমাদের জমিতে লাকড়ি রাখতেন। ওই লাকড়ি সরাতে বললে পরিকল্পিতভাবে হামলা করেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল জানান, থানায় মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেসেঞ্জার/শিবলু/সজিব