ছবি : মেসেঞ্জার
সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা উল্লেখ না থাকলে তা নিয়োগপত্র হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ শীর্ষক সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নিজামুল হক নাসিম বলেন, দেশব্যাপী সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরির জন্য আমাদের কাছে কয়েক হাজার আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু বাছাইয়ে সেই আবেদনের বেশির ভাগই বাদ পড়েছে।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অনেক সাংবাদিকের নিয়োগপত্রে বেতন উল্লেখ ছিল না। তার মতে বেতন উল্লেখ না থাকলে তা নিয়োগপত্র হতে পারে না। নিয়োগপত্রে অবশ্যই বেতন উল্লেখ থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বলেন, অনেকের নিয়োগপত্রে উল্লেখ থাকে বিজ্ঞাপনের জন্য কমিশন দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজ্ঞাপনের পেছনে সাংবাদিকদের ছুটতে হলে তিনি আর সাংবাদিক থাকেন না, তিনি তখন ওই প্রতিষ্ঠানের দালাল হয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরির কাজ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি চলতেই থাকবে, যাদের আবেদন বাতিল হয়েছে তারা সংশোধন করে আবার আবেদন করতে পারবেন। নীতিমালা অনুযায়ী সকল সাংবাদিকদের ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
জামালপুর সার্কিট হাউজ কনফারেন্স রুমে এই সেমিনার ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল।
জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান ও সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা জালাল উদ্দিনসহ জামালপুর জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা বক্তব্য দেন।
এ সময় বক্তারা বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, সরকার, প্রশাসন, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকরা মিলে অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধ করে সাংবাদিকতার মান উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মেসেঞ্জার/উজ্জল/শাহেদ
